Murder Case: সরকারি দফতরের পিছনে ম্যানহোলে ভাসছে প্লাস্টিকে মোড়া যুবতীর দেহ! তদন্তে ফাঁস পুরোহিতের ভয়ঙ্কর কীর্তি
Crime News: গত ৩ মে অপ্সরা সামশাবাদ থেকে ভদ্রচলমে যাচ্ছিল। তিনি নিজেই অপ্সরাকে সামশাবাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে আসেন। কিন্তু এরপর থেকে ফোন করলে, কোনও জবাব পাননি আর।

হায়দরাবাদ: বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন ভাগ্নিকে। তারপর থেকেই নাকি ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় গিয়ে নিজেই নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু তদন্তে নামতেই সামনে এল অন্য তথ্য। জানা গেল, যে ব্য়ক্তি অভিযোগ করেছিলেন, তিনিই খুন করেছেন যুবতীকে। ভাগ্নির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affair) জেরেই খুন করেন ব্য়ক্তি। পেশায় পুরোহিত ওই ব্যক্তি যুবতীকে খুনের পরে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে মন্দিরের পিছনেই একটি ড্রেনে ফেলে দিয়ে আসেন। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে তেলঙ্গানার (Telangana) সারুরনগরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুরোহিতের নাম আয়াগারি সাই কৃষ্ণ। শুক্রবার পুলিশ তাঁকে খুন ও দেহ লোপাট করার অভিযোগে গ্রেফতার করে। তেলঙ্গানার সরুরনগরে রেজিস্ট্রারার অফিসের পিছনে একটি খাল থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাই কৃষ্ণা নামক ওই ব্যক্তি নিজেই থানায় এসে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কুরুগান্তি অপ্সরা নামক ওই নিহত যুবতীকে তাঁর ভাগ্নি বলে দাবি করেছিলেন।
অভিযুক্ত পুরোহিত থানায় জানান, গত ৩ মে অপ্সরা সামশাবাদ থেকে ভদ্রচলমে যাচ্ছিল। তিনি নিজেই অপ্সরাকে সামশাবাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে আসেন। কিন্তু এরপর থেকে ফোন করলে, কোনও জবাব পাননি আর। বাসে বা ভদ্রচলমে পৌঁছে তাঁর ভাগ্নির সঙ্গে কিছু একটা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই সন্দেহ বাড়ে সাই কৃষ্ণাকে নিয়েই। বাসস্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য টেকনিক্যাল ডেটা সংগ্রহ করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় সাই কৃষ্ণাকে। পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়ে সাই কৃষ্ণা খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাই কৃষ্ণা বিবাহিত। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। এদিকে অপ্সরার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। সম্প্রতিই অপ্সরা বিয়ের জন্য চাপ দিতেই তাঁকে খুন করেন সাই কৃষ্ণা। এরপরে তাঁর দেহ প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে সরুরনগরের যে মন্দিরে তিনি পুজারির কাজ করেন, ঠিক তার পাশেই এমআরও-র অফিসের পিছনে ম্যানহোলে অপ্সরার দেহ ফেলে দিয়ে আসেন।
