Terror Hideout Busted: এ যেন আলিবাবার গুহা! কম্বল সরাতেই সামনে এল জঙ্গিদের গোপন ডেরা, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
Terror Hideout Busted in Poonch: তল্লাশি অভিযান চলাকালীনও গুলির শব্দ শোনা যায় এবং বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতেও দেখা যায়। মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই জঙ্গিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
কাশ্মীর: একটানা তল্লাশি অভিযানে মিলছে সাফল্য, এবার জঙ্গি ঘাঁটিতে(Terrorist Hideout)-ও পৌঁছে গেল নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর(Jammu Kashmir)-র পুঞ্চ (Poonch)জেলায় ভাট্টি-দুরিয়ান জঙ্গলের ভিতর থেকে জঙ্গিদের গোপনঘাঁটির হদিশ পায় নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces)।
সরকারি আধিকারিকদের সূত্র মতে, সম্প্রতিই যে পাক জঙ্গিকে জম্মুর কোট ভালওয়াল সেন্ট্রাল জেল থেকে মেনধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, সেই-ই গোপন ঘাঁটির হদিস দিয়েছিল। ওই জঙ্গিকে নিয়েই রবিবার তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু সেখানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। এনকাউন্টার (Encounter) অভিযানে এক সেনা জওয়ান, দুই পুলিশকর্মী আহত হন। গুলির আঘাতে দেতেনিউ জিয়া মুস্তাফা নামক ওই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিও আহত হয়। তবে লাগাতার গুলি বর্ষণের কারণে তাঁকে সংঘর্ষস্থল থেকে সেই মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ওই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সংঘর্ষের পরেই ফের পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা মিলে পুনরায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ওই সংঘর্ষস্থলেই। ভাট্টি দুরিয়ান জঙ্গলের মধ্যেই একটি গোপন ঘাঁটি থেকে এক অ্যাসল্ট রাইফেল (AK Assult Rifle), ২৯ রাউন্ড গুলি সহ একটি ম্যাগাজিন, দুটি গ্রেনেড (Grenade) ও দুটি ডেটোনেটর (Detonator) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও কিছু কম্বল, শুকনো খাবার, দুটি জুতো, দুটি ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ ও চারটি বিস্কুটের প্যাকেট পাওয়া যায়। এতেই মনে করা হচ্ছে যে, ওখানেই জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল এবং কমপক্ষে দুইজন জঙ্গি সেখানে সম্প্রতিই লুকিয়ে ছিল।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযান চলাকালীনও গুলির শব্দ শোনা যায় এবং বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতেও দেখা যায়। মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই জঙ্গিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ওই অঞ্চলে যতগুলি গুহা ছিল, সবক’টিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জঙ্গিদের হদিশ এখনও মেলেনি, এমনটাই আধিকারিকেরা জানান।
পুঞ্চ জেলার ওই এলাকার প্রায় ১২ জন বাসিন্দাদেরও আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সূত্রের দাবি, জঙ্গিদের আশ্রয়, নানা গোপন তথ্য দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগেই ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় নয়, জঙ্গিদের দেখানো বন্দুকের নলের ভয়েই যাবতীয় সাহায্য করেছেন।
চলতি বছরের জুন মাস থেকেই রাজৌরি ও পুঞ্চে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি। বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার এনকাউন্টার অভিযান চালিয়ে এখনও অবধি ৯জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শুক্রবার পুঞ্চ থেকে সেনাবাহিনী দুটি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে এবং তা পরে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। বিগত ১৪ দিন ধরেই উপত্যকায় জঙ্গিদমনের কাজ চলছে।