উপত্য়কাতেই লুকিয়ে আছে, পহেলগাঁও হামলার ১০দিন পরও কেন ধরা পড়ছে না জঙ্গিরা?
J&K Terror Attack: জঙ্গি হামলার তদন্তভার নিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তারা বৈসরন উপত্যকায় গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও থ্রিডি ম্যাপিং করেছে। উপত্যকায় চিরুণি তল্লাশি চলছে জঙ্গিদের খোঁজে, কিন্তু পুলিশ-সেনা কেউই নাগাল পাচ্ছে না জঙ্গিদের।

শ্রীনগর: শুরু হয়ে গিয়েছে অ্য়াকশন। উপত্যকায় গ্রেফতার কমপক্ষে ৪৫ জন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করত এরা। জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিত। যে ৪ জন জঙ্গি পহেলগাঁওতে হামলা করেছিল এবং ২৬ জন পর্যটককে হত্য়া করেছিল, তারা এখনও কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে। এমনটাই এনআইএ সূত্রে খবর।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তদন্তভার নিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তারা বৈসরন উপত্যকায় গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও থ্রিডি ম্যাপিং করেছে। উপত্যকায় চিরুণি তল্লাশি চলছে জঙ্গিদের খোঁজে, কিন্তু পুলিশ-সেনা কেউই নাগাল পাচ্ছে না জঙ্গিদের। কেন এমন হচ্ছে?
এনআইএ সূত্রে খবর, জঙ্গিরা আত্মনির্ভর। তাদের কাছে খাবার থেকে শুরু করে অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। সেই কারণেই লোকচক্ষু এড়িয়ে ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। আর এখানেই আরও স্পষ্ট হচ্ছে পাকিস্তান। বোঝাই যাচ্ছে যে পাকিস্তান থেকে মদত দেওয়া হয়েছে তাদের।
প্রাথমিক তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, হামলার অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই জঙ্গিরা বৈসরন উপত্যকায় উপস্থিত ছিল। তাদের রেইকি চালাতে সাহায্য করেছিল কিছু ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার। বৈসরন ছাড়াও আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালিতে রেইকি করেছিল।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জঙ্গিরা মোবাইল ব্যবহার করেনি, তারা শর্ট রেঞ্জ এনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিশন করছে। তাদের প্ল্যানিং ছিল, তিন জঙ্গি মিলে বৈসরন উপত্যকায় পযর্টকদের উপরে হামলা করবে এবং একজন জঙ্গি জঙ্গলে লুকিয়ে থাকবে। প্রয়োজন হলে ব্যাক আপ দেবে।

