
নয়া দিল্লি: এসআইআর পর্ব চলাকালীন বারবার কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে অত্যাধিক কাজের চাপ। কমিশন তাঁদের ওপরেই প্রায় সমস্ত দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। সবথেকে বেশি তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন, ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়ে। দেশের রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত মিলিয়ে ১২ জায়গায় চলছে এসআইআর। প্রায় সব জায়গা থেকেই এহেন অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় কাজের চাপে BLO-র আত্মহত্যারও অভিযোগ উঠেছে। এবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর মামলার শুনানিতেও এই অভিযোগ মান্যতা পেল। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এসআইআর মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে BLO-দের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি BLO–রা অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকেন, তাহলে রাজ্য সরকারেরই কর্তব্য তাঁদের সাহায্য করার। কমিশনের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে পারে রাজ্যগুলো। আদালত জানিয়েছে, এর ফলে BLO-দের কাজের সময়ও কমবে, তাঁদের কাজের চাপও লাঘব হবে। রিজিওন্যাল অফিসার নিয়োগের পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত।
আদালত এও জানিয়েছে, যেসব BLO-দের নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে এবং যাঁরা এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদনও জানাতে পারেন। যদিও সেটি কেস টু কেস বিবেচ্য হবে। তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার পর, তাঁর জায়গায় রাজ্যকে অবশ্যই বিকল্প কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
তবে আদালত জোর দিয়ে বলেছে, বিকল্প কর্মীর ব্যবস্থা না করে রাজ্য যেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই না নেয়। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসআইআর-এর কাজের জন্য রাজ্যকে নির্বাচন কমিশনের কাজে যথেষ্ট লোকবল নিশ্চিত করতেই হবে।
একাধিক জায়গায় কাজের চাপে BLO-দের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের তরফ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। এদিনের শুনানিতে সেই বিষয়টিও ওঠে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এ ধরনের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন পরবর্তী পর্যায়েও দাখিল করা যেতে পারে।