AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: ‘ফর্ম আপলোড করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া উচিত, সময় বাড়ানো উচিত’, SIR মামলায় শীর্ষ আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ

SC On SIR: আবেদনকারীদের পক্ষে এসআইআর-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, জুন মাসের আগে  ১১ টি ডকুমেন্ট ছিল না। তারপরে উল্লেখ করা হয়। নতুন নতুন নিয়ম করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের কোনও ক্ষমতাই সংবিধান অনুসারে নেই, নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার। সারা দেশে একসঙ্গে এস আই আর করা যায় না। 

SIR: 'ফর্ম আপলোড করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া উচিত, সময় বাড়ানো উচিত', SIR মামলায় শীর্ষ আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর মামলার শুনানিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2025 | 4:47 PM
Share

নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে উঠে এল বিশেষ পর্যবেক্ষণ।  কর্ণাটকের এসআইআর-এর সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য বিবেচনা করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্যা বাগচির বেঞ্চের পরামর্শ, মূল সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর ছিল, যা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ওই রাজ্যে নির্বাচনের স্থানীয় ভোট গ্রহণ ৯ ও ১১ ডিসেম্বর এবং গণনা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যাঁরা স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত, তাঁদের ফর্ম আপলোড করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সময় বাড়ানো উচিত। এতে যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁরা সুযোগ পান।”

আবেদনকারীদের পক্ষে এসআইআর-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, জুন মাসের আগে  ১১ টি ডকুমেন্ট ছিল না। তারপরে উল্লেখ করা হয়। নতুন নতুন নিয়ম করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের কোনও ক্ষমতাই সংবিধান অনুসারে নেই, নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার। সারা দেশে একসঙ্গে এস আই আর করা যায় না।

তিনি তাঁর যুক্তি অব্যাহত রেখে বলেন, নির্বাচন কমিশন শহুরে হওয়া এবং ঘনঘন অভিবাসনকে এসআইআর-এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে। কিন্তু এগুলো সাধারণ কারণ। ভারত ‘গ্রাম-শহুরে’ দেশ। আইনজীবীর কথায়, “আমরা আর জানি না গ্রামের শেষ কোথায় এবং শহরের শুরু কোথায়।” তিনি উল্লেখ করেন যে, অভিবাসন একটি মানুষের স্বভাব, তাই এটিকে একটি সাধারণ ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা যায় না।

তখন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, এসআইআর পরিচালনার নিয়মে নির্বাচন কমিশনের ওপর কি কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা আছে?  নাকি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নিয়মে রদবদল করতে পারে কমিশন? অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথায়, “নির্বাচন কমিশনের কথা অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিককে প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা ভারতেই নাগরিক। আসলে এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে।”

তখন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারও বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এটাই নিশ্চিত করে যে, নিয়ম প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে সংসদের হাতে, নির্বাচন কমিশনের হাতে নয়। এখনও মামলা শুনছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।