AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SC On SIR: BLO-দের ওপর চাপ তৈরি করছে রাজনৈতিক দলগুলো, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কমিশন

SC On SIR: পশ্চিমবঙ্গের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। কমিশনের এহেন বক্তব্যের পাল্টা সিব্বল বলেন, কোন রাজনৈতিক নেতা নির্দেশ দেয়নি। যাবতীয় নির্দেশ কমিশন দিয়েছে। ৪ ডিসেম্বর শেষ দিন, এটা অবাস্তব চিত্র। তামিলনাড়ুতে ঝড় আসছে। এটা ৫ ডিসেম্বর করা হোক।

SC On SIR: BLO-দের ওপর চাপ তৈরি করছে রাজনৈতিক দলগুলো, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কমিশন
সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর মামলার শুনানিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2025 | 2:30 PM
Share

নয়া দিল্লি:  পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যের আবেদন, এসআইআর প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম জমা কিংবা ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়ানো হোক। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। আপাতত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন কমিশনের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। তাঁর বক্তব্য, ৫০ শতাংশ ডিজিটাইজেশন হয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে না। ৫০ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ। কমিশনের তরফ থেকে এদিন জানানো হয়, যাঁরা পাননি এনুমারেশন ফর্ম, তাঁদের সাপ্লিমেন্টারি তালিকার কথা ভাবা হচ্ছে। কমিশনের কথায়, রাজনৈতিক নেতারা ভয় দেখাচ্ছেন।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। কমিশনের এহেন বক্তব্যের পাল্টা সিব্বল বলেন, কোন রাজনৈতিক নেতা নির্দেশ দেয়নি। যাবতীয় নির্দেশ কমিশন দিয়েছে। ৪ ডিসেম্বর শেষ দিন, এটা অবাস্তব চিত্র। তামিলনাড়ুতে ঝড় আসছে। এটা ৫ ডিসেম্বর করা হোক।

আইনজীবী কপিল সিব্বল আবেদন করেন, ৪ ডিসেম্বরের পর বিএলও-রা ৫০ টি করে ফর্ম আপলোড করতে পারবেন, সুপ্রিম কোর্ট যাতে সেই নির্দেশ দেয়। কমিশনের তরফ থেকে আবারও বলা হয়, রাজনৈতিক দলের লোকেরা বেশি চাপ তৈরি করছে বিএলও-দের উপর। তখনই কপিল সিব্বল বলেন, আসলে গ্রাউন্ড চিত্র একেবারেই আলাদা। বিএলও-দের উপর এত চাপ তাঁরা আত্মহত্যা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে ২৩ জন মারা গিয়েছে চাপে।

এদিন এনুমারেশ ফর্মের বিষয় বেশ জটিল বলে উল্লেখ করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কেরলকে আলাদা করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে। বিহার, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের মামলা শোনেন বিচারপতিরা। ৯ তারিখের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে বাংলাকে।

প্রসঙ্গত, প্রথমে কমিশনের কাছে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়। বাংলায় যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, তখনও জেলাশাসকদের তরফে বিএলও-দের ওপর অত্যাধিক চাপের কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু CEC জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনওভাবেই সময়সীমা বাড়ানো যাবে না। কারণ নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ করতে হবে। অন্য রাজ্যেও ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।