AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দোষারোপ নয়, কমিশনকে শক্ত হাতে ভোট পরিচালনা করতে বলাই হয়ত লক্ষ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্ট নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

গত ২৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর কোভিড সংক্রমণ নিয়ে একটি মামলার শুনানি ছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এককভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যায়।”

দোষারোপ নয়, কমিশনকে শক্ত হাতে ভোট পরিচালনা করতে বলাই হয়ত লক্ষ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্ট নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের কাছে কড়া ভাষায় ধমক খেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
| Updated on: May 07, 2021 | 12:12 AM
Share

নয়া দিল্লি: মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ-মামলা নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের ‘শক্ত কথা’র মুখে পড়তে হল নির্বাচন কমিশনকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে, বিচারপতির যে মৌখিক বক্তব্য ‘জুডিশিয়াল রেকর্ড’-এর অংশই নয়, তা রেকর্ড থেকে বাদ (Expung) দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই।

‘ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এককভাবে দায়ী নির্বাচন কমিশন। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যায়’, দিনকয়েক আগেই এক মামলার শুনানি চলাকালীন এমন বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যা ‘অপমানজনক’ বলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেয় কমিশন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশনের পিটিশনের শুনানি চলছিল।

আরও পড়ুন: এবার টিকাতেও ‘লাইট’ ভার্সন, স্পুটনিকের পর বাজারে স্পুটনিক লাইট! করোনা রুখতে এক ডোজ়ই ‘যথেষ্ট’

সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতির মৌখিক এই মন্তব্য আইনি রেকর্ডের বিষয় নয়। এটা তাঁর সাধারণ পর্যবেক্ষণ মাত্র। রায়ের সঙ্গে এই পর্যবেক্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে হাইকোর্টের মন্তব্য করার সময় আরও সচেতন হওয়া উচিৎ সে কথাও বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

কমিশনকে স্পষ্ট জানানো হয়, তাদের দোষারোপ করার জন্য হাইকোর্ট কিছু বলেনি। বরং ভোট চলাকালীন আরও কঠোরভাবে কমিশন যাতে গোটা বিষয়টা সামাল দেয় হয়ত সেটা বলাই ছিল মূল লক্ষ্য। তা বোঝাতেই এই পর্যবেক্ষণ। মাদ্রাজ হাইকোর্টের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, বিচারের সময় কথার ক্ষেত্রে সংযত থাকা দরকার। বিশেষ করে যে ক্ষেত্রে কথার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে, সেই ধরনের মন্তব্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।