
নয়া দিল্লি: জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ধর্ম। নাম বলতেই চোখের সামনে এক এক করে ফেলে হয়েছিল স্বামীদের। মুছে গিয়েছিল স্ত্রীদের মাথার সিঁদুর। রক্তে ভিজে লাল হয়ে উঠেছিল বৈসরণ ভ্যালি। যা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। উঠেছিল বদলার রব। বদলা নিতে খুব বেশি দেরিও করেনি ভারত। ঘরে ঢুকে পাক জঙ্গিদের মেরে এসেছিল ভারতীয় সেনার বীর জওয়ানরা। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়ার্টার। মাটিতে মিশে গিয়েছিল পাকিস্তানের মা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় শতাধিক জঙ্গির। অপারেশন সিঁদুরের হাত ধরেই বদলা নিয়েছিল ভারত। এর আগে কোনও সেনা মিশনের এমন নাম দেখেনি গোটা দেশ। শুধু ভারত নয়, এই নাম নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। এই নাম দিয়ে যে লোগো তৈরি করা হয়েছে তারও প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। কিন্তু, জানেন কারা করেছিল এই লোগোর ডিজাইন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন বলছে, অপারেশন সিঁদুরের লোগো ডিজাইনের নেপথ্যে রয়েছে দুই সেনা জওয়ানের হাত। এমনকী ভাবনা থেকে বাস্তবায়নে সময় লেগেছিল মাত্র ৪৫ মিনিট। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হর্ষ গুপ্ত, অন্যজন হাবিলদার সুরিন্দর সিং।
লোগোতে সিঁদুর শব্দের ইংরাজিতে দুটি O ব্যবহার করা হয়েছে। একটি O এর প্রতীকী হিসাবে সিঁদুরের কৌটো ব্যবহার করা হয়েছে। যেখান থেকে সিঁদুর ছড়িয়ে বাইরে পড়ে রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বিশেষ সিঁদুর কৌটোর ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গিদের আক্রমণে যে সমস্ত মহিলাদের সিঁদুর মুছে, যে নিদারুণ অসহায়তার মধ্যে তাঁরা পড়েছেন তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সম্পূর্ণ লোগোটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল মাত্র ৪৫ মিনিট। তাই এখন সাড়া ফেলে দিয়েছে আসমুদ্রহিমাচলে। সোজা কথায়, ভারত কী পারে তা ফের একবার বুঝিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। কয়েকদিন আগেই অপারেশন সিঁদুরের কৃতীর কথা তুলে ধরতে গিয়ে মোদী তো স্পষ্টতই বলেছিলেন, “ভারতের শত্রুরা দেখেছে সিঁদুর যখন বারুদ হয়ে যায় তখন আসলে কী অবস্থা হয়।”