Slowest Train: দেশের সবথেকে ধীরগতির ট্রেন কোনটি জানেন?
Slowest Train of India: ইউনেসকো (UNESCO) এই ট্রেনটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে।

তামিলনাড়ু: শতাব্দী এক্সপ্রেসের গতিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশ জুড়ে এখন গতির লড়াই। আরও দ্রুত গতির ট্রেন চালানো যায় কি না, সেই পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। তবে সবথেকে শ্লথগতির ট্রেন কোনটি জানেন? পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও ট্রেনের গতি সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই। দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে চলে সেই ট্রেন। ‘মেট্টুপালয়ম উটি নীলগিরি প্যাসেঞ্জার’ ট্রেনটিই হল দেশের সবথেকে কম গতির ট্রেন। এক ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটার রাস্তা পার করে এই ট্রেনটি। অন্যান্য সাধারণ গতির ট্রেন এর থেকে অন্তত ১৬ গুন গতিতে ছোটে।
ইউনেসকো (UNESCO) এই ট্রেনটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে। পাহাড়ের ওপর দিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে যায় এই ট্রেন। যাত্রীরা ট্রেনে বসে চারপাশের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
ইউনেসকো-র ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, পাহাড়ি এলাকার জন্য এই ট্রেন চালু হতে অনেক সময় লেগেছিল। ১৮৫৪ সালে এই ট্রেন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত রেলপথের কাজ শুরু হয় ১৮৯১ সালে। আর ট্রেন চালু হয় ১৯০৮ সালে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ট্রেন চালু করা হয়েছিল।
নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে প্রতিদিন এই ট্রেন চালায়। সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ে মেট্টুপালয়ম থেকে। দুপুরে পৌঁছয় উটিতে। আবার বিকেল ৫ টা ৩৫ মিনিটে এটি মেট্টুপালয়ম স্টেশনে ফিরে আসে সেই ট্রেন।
মোট ৪৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই ট্রেন। ১০০ টি ব্রিজ ও একাধিক টানেল পার করে সেটি। কোথাও পাথুরে পথ, কোথাও ঘন জঙ্গল আবার কোথাও চা গাছের গালিচা। ট্রেন থেকেই উপভোগ করা যায় এমন সব দৃশ্য। তবে মেট্টুপালয়ম ও কুনুরের মধ্যবর্তী অংশের দৃশ্য সবথেকে সুন্দর।
সাধারণত ছুটির মরশুমে বা সপ্তাহান্তে এই ট্রেনে যাত্রীর ভিড় বেশি থাকে। তাই ওই সময় ট্রেন বুকিং করে যাওয়াই ভাল। আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকেই ট্রেনটি বুকিং করা যায়।
