পটনা: রমজান মাস চলছে। আগামী মাসের শুরুতেই ঈদ। কিন্তু তার আগেই আজান নিয়ে মহারাষ্ট্রে তীব বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা (Maharashtra NavaNirman Sena) বা এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) মহারাষ্ট্র সরকারকে রীতিমতো হুমকির সুরেই জানিয়েছিলেন ‘৩ মে এর মধ্যে মসজিদের বাইরে থেকে মাইক খুলে নিতে হবে।’ মহারাষ্ট্রের এই আজানের আঁচ এবার বিহারের এসে পড়ল। আজান নিয়ে মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির জোট সঙ্গী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজ ঠাকরের করা মন্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন নীতীশের ক্যাবিনেটের এক মন্ত্রী। এবার মুখ খুলে নীতীশ এমন অবস্থান নিলেন, যা নতুন ধরনের রাজনৈতিক জল্পনাকে জোরাল করেছে। আজান প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেন, প্রত্যেক ধর্মেই আলাদাভাবে প্রার্থনা করার নিয়োম রয়েছে। ধর্ম নিয়ে একে ওপরের সঙ্গে লড়াই করা উচিৎ কাজ নয়।
এদিন আরও একধাপ এগিয়ে জেডিইউ প্রধান বলেন, মসজিদের আজান ও মাইক নিয়ে যাঁরা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, তাদের ধর্মের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর মতে, কোনও মানুষকেই ধর্মাচরণে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই। নীতীশ বিজেপির জোট সঙ্গী, তাই স্বাভাবিকভাবেই নীতীশের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে। “মানুষের মনে যা আসে, তাঁরা তাই বলেন। ভালবাসা ও ভাতৃত্ববোধের পরিবেশ থাকা উচিৎ। প্রত্যেক ধর্মের পথ আলাদা। তাই ধর্ম নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই করা উচিৎ নয়। প্রত্যেকেরই তাদের নিজেদের ধর্ম মেনে চলা উচিৎ। কেউ যদি সমস্যা তৈরি করে, তার সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।” বিজেপির সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হেঁটে এমনটাই জানিয়েছেন নীতীশ কুমার।
রাম নবমী ও হনুমান জয়ন্তীতে বিভিন্ন রাজ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, সেই নিয়েও মুখ খুলেছেন নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সতর্কতা হিসেবে তিনি আগেভাগেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময়ে প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, রাজ্যে আগেও একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে।