Tipu Sultan’s sword: বিজয় মালিয়ার পরিবারে ডেকে এনেছিল দুর্ভাগ্য, টিপুর তরোয়াল নিলাম হল ১৪৫ কোটি টাকায়

Tipu Sultan’s bedchamber sword: টিপু সুলতানের শনকক্ষে থাকা তরোয়াল, এক সময় ছিল বিজয় মালিয়ার কাছে। কিন্তু তা তার পরিবারে দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছিল বলে দাবি করেছিলেন মালিয়া। সেই তলোয়ারটিই মঙ্গলবার লন্ডনে বিক্রি হল ১৪৫ কোটি টাকায়।

Tipu Sultan’s sword: বিজয় মালিয়ার পরিবারে ডেকে এনেছিল দুর্ভাগ্য, টিপুর তরোয়াল নিলাম হল ১৪৫ কোটি টাকায়
টিপুর এই তরোয়ালটি নিলাম হল ১৪৫ কোটি টাকায় (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2023 | 8:56 PM

লন্ডন: মঙ্গলবার (২৩ মে) লন্ডনে নিলাম করা হল টিপু সুলতানের একটি তরোয়াল। ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা ‘বনহ্যামস’ এই নিলাম পরিচালনা করে। তরোয়ালটি থাকত টিপু সুলতানের শয়নকক্ষে। একসময় পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী তথা মদ ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়ার কাছে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে, বিজয় মালিয়া জানিয়েছিলেন, তিনি তলোয়ারটি অপর একজনকে দিয়ে দিয়েছেন। কারণ এটি তাঁর পরিবারে দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছিল। ২০১৮ সালে লন্ডন হাইকোর্টে শুনানির সময়, বিজয় মালিয়ার আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তরোয়ালটি কোথায় কার কাছে আছে, তা তাদের জানা নেই। নিউজ৯ প্লাসকে গবেষক তথা ইতিহাসবিদ নিধিন ওলিকারা বলেছেন, “এই তরোয়ালটিই ২০০৪ সালে কিনেছিলেন বিজয় মালিয়া। মালিয়া তরোয়ালটি কিনেছিলেন ১.৫ কোটি টাকায়। গতকাল সেই তরোয়ালটিই ১৪৫ কোটি টাকায় নিলাম করা হয়েছে।”

তরোয়ালটির এর আগের মালিক সম্পর্কে জানতে নিউজ৯ প্লাসের পক্ষ থেকে ‘বনহ্যামসে’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সংস্থাটি তরোয়ালটির অতীত বা বর্তমান মালিক সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। বনহ্যামসের সেল কোঅর্ডিনেটর এনরিকা মেদুগ্নো বলেছেন, “আমরা আমাদের বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের পরিচয় প্রকাশ করতে পারব না। এটা আমাদের গোপনীয়তা নীতির বিরোধী।” তবে, মঙ্গলবার নিলামে ওঠা টিপুর তলোয়ারটিই যে বিজয় মালিয়ার কাছে ছিল, তা একেবারে স্পষ্ট। কারণ উভয় তরোয়ালেই একই লিপি রয়েছে এবং খোদাই করা আছে শমশির-ই-মালিক।

১৭৯৯ সালের ৪ মে সেরিঙ্গাপতম দখল করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্য। টিপু সুলতানের শয়নকক্ষ থেকে তরোয়ালটি লুট করে নিয়েছিল তারা। তারপর, সেটি মেজর জেনারেল বার্ডকে উপহার দিয়েছিলেন। মেজর জেনারেল বার্ডই ওই আক্রমণ পরিতালনা করেছিলেন। হামলায় প্রাণ গিয়েছিল টিপু সুলতানের। তরবারির শিড়দাঁড়ায় লেখা আছে, শমশির-ই মালিক। অর্থাৎ, ‘বাদশাহর তরোয়াল’। আর হাতলে খোদাই করা আছে, ইয়া আল্লাহ! ইয়া নাসির! ইয়া ফাত্তাহ! ইয়া নাসির! ইয়া মুইন! ইয়া জাহির! তারপর থেকে বিজয় মালিয়ার কাছে পৌঁছানোর আগেই তরোয়ালটির অনেকবার হাত বদল করেছিল। এবার আবার নতুন কোনও মালিকের কাছে পৌঁছে গেল সেটি।