কলকাতা: লক্ষ্য ২০২৪। যার তৎপরতা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। আগামী ২১ শে জুলাই রাজ্যজুড়ে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। এ বছরও সমাবেশ ভার্চুয়ালিই হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃতীয়বার রেকর্ড মার্জিনে জিতে আসার পর ভিনরাজ্যেও সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলার শাসকদল। যে কারণে চলতি বছর দিল্লিতেও ২১শে জুলাইয়ের ভাষণ শোনানোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২১শে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ভাষণ দেবেন, তার সরাসরি সম্প্রচার হবে দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে থাকা দলীয় কার্যালয়ে।
দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার তো হবেই। এর পাশাপাশি অসম এবং ত্রিপুরার মতো রাজ্যে যেই অঞ্চলে বাঙালি প্রভাব রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকাতেও মমতার ২১ শে জুলাইয়ের ভাষণ সম্প্রচারিত হতে পারে। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সমস্ত প্রতিকূলতাকে নিরস্ত্র করে যেভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জয়লাভ করেছে, তাতে এই বছরের ২১ শে জুলাই যে তৃণমূলের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিশেষ দিনে মমতা নিজের ভাষণের মাধ্যমেই আগামীর রোডম্যাপ পরিষ্কার করতে পারেন বলে মনে আশাবাদী তৃণমূল কর্মীরা।
অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ শে জুলাইয়ের আগেই রাজধানীতে শুরু হয়ে যাবে বাদল অধিবেশন। ফলে তৃণমূলের রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা ওই সময়টা দিল্লিতেই থাকবেন। ফলে তাঁরা দিল্লি থেকেই যোগ দেবেন এই অনুষ্ঠানে। বেশিরভাগ সাংসদেরাই কলকাতায় আসবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন, দিল্লিতে ভাষণ সম্প্রচারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। তবে ত্রিপুরা ও অসম নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে পরিকল্পনামাফিক এগোলে এই দুই রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশের মঞ্চের ভাষণ শোনা যাবে।
ঘাসফুল শিবিরের জন্য সর্বদাই ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস নানা আঙ্গিকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের মোড়ে মঞ্চ করে হওয়া এই সমাবেশ থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের আগামীর পথ চলার মন্ত্র বাতলে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত বছর থেকে সেই সমাবেশে ছেদ পড়েছে করোনার কারণে। সে জন্যই এই বছরও ঝুঁকি না নিয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানই করতে চান তৃণমূল নেত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি কোনও বার্তা দেন কি না সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলায় নোটিস জারি হাইকোর্টের, নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল আদালত