আগরতলা : পুর নির্বাচনে সব প্রার্থীকে নিরাপত্তা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরও বারবার আক্রমণের ঘটনা ঘটছে ত্রিপুরায়। তাই এবার ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সব পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। আজও আগরতলা পুর নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতা আশিষলাল সিং আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুরভোট আসন্ন আগরতলায়। তার আগে রাজনৈতিক প্রচার চলছে পুরোদমে। প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটছে। ১৪, ১৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটতনা ঘটেছে পরপর। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন বারবার হামলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই দাবি নিয়ে আজ আগরতলায় একটি মিছিল করেছে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। মোমবাতি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছে তৃণমূল।
সম্প্রতি হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে আগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুর নির্বাচনের প্রার্থী পান্না দেব। তাঁর দাবি, পরে হামলার শিকার হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করে পুলিশ। প্রথমে পান্না দেবকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। অভব্য আচরণ ও আইনভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতা নেত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি, ভাঙচুর এবং ভোটপ্রচারের সামগ্রীও নষ্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। বিপ্লব দেবের রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনেরও আর্জি জানিয়েছেন সুস্মিতা।
এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং জানিয়েছেন, বিজেপি আতঙ্কে এ সব কাজ করছে। বিজেপি মহিলাদের কোনও সম্মান করছে না বলেও দাবি করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী শর্মিষ্ঠা দেব সরকার ও দ্বীপান্বিতা চট্টোপাধ্যায়ের ওপরও হামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে ভোগান্তির দিন শেষ! বড় ঘোষণা কলকাতা পুরসভার