AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

KMC: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে ভোগান্তির দিন শেষ! বড় ঘোষণা কলকাতা পুরসভার

Firhad Hakim: এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকেই জানা যাবে শংসাপত্র নিতে কখন আসতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৮৩৩৫৯৯৯১১১।

KMC: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে ভোগান্তির দিন শেষ! বড় ঘোষণা কলকাতা পুরসভার
এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকেই জানা যাবে শংসাপত্র নিতে কখন আসতে হবে। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 10:19 PM
Share

কলকাতা: জন্ম কিংবা মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। ঘুরে মরতে হবে না রোজ রোজ পুরসভার দরজায়। মুশকিল আসান করছে কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকেই জানা যাবে শংসাপত্র নিতে কখন আসতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৮৩৩৫৯৯৯১১১।

বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এতদিন জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে ভিড় করে আসতেন মানুষ। আমাদের ড্রপবক্স এখন বন্ধ। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হচ্ছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আপনি যেই হোয়াটসঅ্যাপ করবেন আপনাকে একটা সময় বলে দেওয়া হবে। সেই সময় ধরে আপনাকে শংসাপত্র নিতে আসতে হবে।”

ফিরহাদ হাকিম জানান, সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো অবধি শংসাপত্র দেওয়া হবে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা অবধি শংসাপত্র পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রেও যাতে কোনও রকম ভিড় জমায়েত না হয় তার জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা আধ ঘণ্টা করে স্লট ধরে নেব। প্রতি আধ ঘণ্টায় ১২ জনকে সময় দেব।”

শহরের প্রথম সারির হাসপাতালে জন্ম। তবু বাচ্চার জন্মের পর বছর ঘুরে গেলেও শংসাপত্র পেতে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে এমন অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে। মাস দু’য়েক আগে ‘টক টু কেএমসি’তে এমনই অভিযোগ নিয়ে ফোন করেছিলেন এক পিতা। আরজি কর হাসপাতালে তাঁর সন্তানের জন্ম। তবু সন্তানের জন্মের শংসাপত্র পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছিল বাবা-মাকে। ফিরহাদ হাকিমকেই ফোনে সে কথা বলেছিলেন ওই ব্যক্তি।

সমস্যা যে গুরুতর না অনুধাবন করে মুখ্য প্রশাসক কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে গোটা প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার নির্দেশ দেন। হাসপাতালগুলিতে থাকে মূল রেজিস্টার। কলকাতা পুরসভায় আসে সাব রেজিস্টার। তাই কলকাতা পুরসভায় যাতে মূল রেজিস্টারটি দ্রুত চলে আসে এবং সেখানে যাতে নাম বদল, নতুন নাম তোলার কাজ দ্রুত হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়।

গত মাসেই আরজি কর থেকে এক অভিযোগ সামনে আসে। জন্মের দু’ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জন্মের শংসাপত্র পায়নি শিশুর পরিবার। এমনই অভিযোগ করে, পঞ্চাশ হাজার শিশুর পরিবার। জন্মের শংসাপত্র না পেয়ে নাজেহাল পরিবার।

এ তো গেল জন্মের শংসাপত্র পেতে নাজেহাল হওয়ার কথা। একই ভাবে মৃত্যুর শংসাপত্র পেতেও পরিবারকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বলেই অভিযোগ। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় যখন কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের কোনও একটির বাসিন্দার শেষকৃত্য হয় কলকাতার বাইরে কোনও শ্মশানে। সে ক্ষেত্রে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সমস্ত কাগজপত্র এনে মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হয়। একই নিয়ম প্রযোজ্য হয় কলকাতার কোনও হাসপাতালে মারা গেলেও।

অনেক ক্ষেত্রে আবার তাড়াহুড়োতে ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল নাম লেখা হয়। পরে পুরসভায় গিয়ে ফর্ম ফিল আপ করে ড্রপবক্সে তা জমা দিয়ে নতুন সার্টিফিকেট নিতে হয়। তার জন্যও ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। এবার থেকেই একটা হোয়াটসঅ্যাপেই মুশকিল টলবে।

আরও পড়ুন: Student Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ অনুমোদন নিয়ে রাজ্যজুড়ে শিবিরের দিন ঘোষণা