Student Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ অনুমোদন নিয়ে রাজ্যজুড়ে শিবিরের দিন ঘোষণা
Nabanna: প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। যার জন্য অনুমোদিত ঋণের পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কলকাতা: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ অনুমোদনের জন্য বিশেষ শিবির (Student Credit Card Loan Sanction Camp) করছে রাজ্য। আগামী ২০ নভেম্বর কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা স্তরে এই শিবির করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত শিবির চলবে।
প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। যার জন্য অনুমোদিত ঋণের পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আগামী ২০ নভেম্বর বেলা তিনটে নাগাদ সমস্ত জেলাশাসক ও ব্যাঙ্কের উচ্চ পদাধিকারী, উচ্চ শিক্ষা দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ২০২২ সাল থেকে ১ জানুয়ারি দিনটি শিক্ষার্থী দিবস হিসাবে পালিত হবে। এদিন ১০ হাজারের বেশি ছাত্র ছাত্রীকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই আগামী ২০ তারিখ শহর কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে শিবির খোলা হবে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই মাস দেড়েকের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হয়। পরিকল্পনামাফিক, রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক, রাজ্যের অনুমোদিত কেন্দ্রীয় এবং জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে।
১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের পাশাপাশি সুদের হারেও ভর্তুকি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কের সুদের হার যতই ধার্য থাকুক না কেন, যিনি ঋণ নিচ্ছেন, তিনি কেবল ৪ শতাংশই সুদ দেবেন। সুদের হারের বাকি অঙ্ক দেবে রাজ্য সরকার। মহিলাদের জন্য রয়েছে আরও ছাড়। সুদের উপর অতিরিক্ত ৫০ বেসিস পয়েন্ট ছাড় পাবেন মহিলারা।
‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একবারে এই ১০ লক্ষ টাকা ঋণ না নিয়ে ধাপে ধাপেও সেই টাকা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনলাইনেই এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে।
সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। বছরে সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ মেটাতে হবে পড়ুয়াকে। ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও মার্জিন মানি দিতে হবে না অর্থাৎ ব্যাঙ্কে এককালীন কোনও টাকা দিতে হবে না। তার বেশি টাকা ঋণ নিলে সেই টাকার ওপর ৫ শতাংশ মার্জিন মানি দিতে হবে।
কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময়ে এই ঋণ নেওয়া যাবে। ঋণ দেওয়া হলেও ব্যাঙ্ক সরকারি পোর্টালে সেই তথ্য আপলোড করবে। ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কোনও অতিরিক্ত শর্ত চাপাতে পারবে না। সরকারই এই ঋণের গ্যারান্টার হবে। ব্যাঙ্কে পড়ুয়ার অভিভাবককে কোনও চাপ দিতে পারবে না। ১৫ বছরের মধ্যে সুদ মেটাতে হবে। কোনও অভিভাবক চাইলে আগেও সেই টাকা মিটিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Cyber Crime: কেওয়াইসি দিতেই ফোনে এল ওটিপি! সাড়ে সর্বনাশ সল্টলেকের বাসিন্দার