
কলকাতা: আজ বড় নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জানিয়েছে, আগামী বছরের অগস্ট পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এটিকে এক প্রকার বলাই যায় তৃণমূলের জয়। কারণ, ভোটের পরও তিন মাস সময় থাকছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এ দিনের, আদালতের নির্দেশ তৃণমূল নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারে বলেও মনে করেছেন করেছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর এরই মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ যাঁরা আন্দোলন করছিলেন তাঁদের একাংশকে ‘অতৃপ্ত আত্মার’ সঙ্গে তুলনা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অতৃপ্ত আত্মার কথা বললাম কারণ, বিকাশবাবুরা যাঁদের হয়ে মামলা লড়ছেন তাঁরা তো কেউ ২০১৬ সালে চাকরি পায়নি। কিন্তু ওরা ২০১৬ সালে লেগে রয়েছে। আজও ২০২৫ শেষ হয়ে ২০২৬ হল, তাতেও লেগে রয়েছে। তাই আমি বললাম, বাংলায় একটা কথা আছে অতৃপ্ত আত্মা। ওরা হচ্ছে অতৃপ্ত আত্মা। কী আর করা যাবে যাঁরা তৃপ্তি পায় না তাঁরাই অতৃপ্ত।”
ধর্মতলার বুকে চাকরি জন্য আন্দোলন দেখছে এ শহর। বছরের পর বছর নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাঁরা আন্দোলন করেছেন। এরপর যখন নিয়োগ হল তখন দেখা গেল তা দুর্নীতিতে ভরা। মামলার জল গড়াল কোর্ট পর্যন্ত। যাঁদের নিয়োগ হল, তাঁদের চাকরি গেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। নতুন করে পরীক্ষা নিতে বলল কোর্ট। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে ভুগলেন যোগ্যরা। দুর্নীতি না করেই যাঁরা পরীক্ষায় বসেছিলেন। তারপর উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যাঁরা চাকরি পাননি তাঁরাই অতৃপ্ত আত্মার মতো মামলা করেছিলেন। এ দিন অন্তত সেই কথাই বলেছেন।