Kalyan Banerjee: সংসদে আরজি কর কাণ্ড তুললেন তৃণমূলেরই কল্যাণ, টেনে আনলেন রাজ্যে আরও ২ ধর্ষণের ঘটনা
Kalyan Banerjee: এদিন লোকসভায় সংবিধান বিতর্কে অংশ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আরজি করের ঘটনার কথা আপনারা সবাই জানেন। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা এখনও কিছুই করতে পারেনি।"
নয়াদিল্লি: সংসদে সংবিধান বিতর্ক। আর সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ তুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও সিবিআই কিছু করতে পারেনি বলে তিনি আক্রমণ করেন। অন্য়দিকে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে ২ মাসের মধ্যে দুটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজার প্রসঙ্গ তোলেন। শুক্রবার সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেও সরব হন তিনি।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আরজি করের ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। এদিকে, তিলোত্তমার ঘটনার প্রায় মাস দুয়েক পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। অক্টোবরেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করেছে। কুলতলির ঘটনায় দোষীসাব্যস্তর ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বারুইপুর পকসো আদালত। আর ফরাক্কাকাণ্ডে ধৃত দু’জনকে দোষীসাব্যস্ত করে জঙ্গিপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। একজনের ফাঁসির সাজা হয়েছে। অন্যজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এদিন লোকসভায় সংবিধান বিতর্কে অংশ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আরজি করের ঘটনার কথা আপনারা সবাই জানেন। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা এখনও কিছুই করতে পারেনি। আর তার পরের দুটি ঘটনায় ২ মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা হয়েছে।” আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী অপরাজিতা বিল। সেই বিলে এখনও কেন অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ।
শুধু আরজি কর কাণ্ড নয়, রাজ্য কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বলেও এদিন সরব হলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। বিভিন্ন খাতে রাজ্যের পাওনা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে বারবার সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল। এদিন কল্যাণ বলেন, “যদি কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু, রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? গরিব মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হোক।”