Mahua Moitra: ‘ক্রেতাদের বোকা বানানো হচ্ছে…’, বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার

Mahua Moitra's Tweet: মহুয়া মৈত্র জানান, সম্প্রতি তিনি দিল্লির আনসল প্লাজায় অবস্থিত ডিক্যাথলনের দোকান থেকে তাঁর বাবার জন্য একজোড়া প্যান্ট কিনতে গিয়েছিলেন। চেকআউটের সময় স্টোর ম্যানেজার তাঁর ফোন নম্বর, ইমেইলের মতো যোগাযোগের ডিটেইল জানতে চান।

Mahua Moitra: 'ক্রেতাদের বোকা বানানো হচ্ছে...', বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার
মহুয়া মৈত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 1:19 PM

নয়া দিল্লি: বাবার জন্য একজোড়া প্যান্ট কিনতে গিয়েছিলেন। জট পাকল বিল করার সময়ে। দোকানের ম্যানেজার ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি চাইতেই বেঁকে বসলেন ক্রেতা। দোকানে দাঁড়িয়েই টুইট করে অভিযোগ জানালেন গোপনীয়তা রক্ষা ও ক্রেতা সুরক্ষা আইন ভঙ্গের। এই ক্রেতা আর কেউ নন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সম্প্রতি তিনি ফ্রেঞ্চ স্পোর্টস পণ্যের দোকান ডিক্যাথলন (Decathlon) থেকে একজোড়া প্যান্ট কিনতে যান। সেখানে বিল করার সময় তাঁর কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি জানতে চাইলে বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ। মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডির মতো ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে গ্রাহকের গোপনীয়তা ও সুরক্ষায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান।

মহুয়া মৈত্র জানান, সম্প্রতি তিনি দিল্লির আনসল প্লাজায় অবস্থিত ডিক্যাথলনের দোকান থেকে তাঁর বাবার জন্য একজোড়া প্যান্ট কিনতে গিয়েছিলেন। চেকআউটের সময় স্টোর ম্যানেজার তাঁর ফোন নম্বর, ইমেইলের মতো যোগাযোগের ডিটেইল জানতে চান। তিনি জানান, নগদ টাকায় তিনি প্যান্ট দুটি কিনতে চাইলেও, স্টোর ম্যানেজার জোর করেন যে বিল তৈরির জন্য ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি প্রয়োজন। এরপরই তিনি স্টোরে দাঁড়িয়ে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে টুইট করেন।

পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর মেসেজের স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন, যেখানে লেখা ছিল যে তিনি যেন ফোন নম্বর না দেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে ওই আইনজীবী বলেন যে সংস্থাগুলিই যেন নিজেদের সিস্টেম পরিবর্তন করেন। আইনজীবীর কথায়, তিনিও লেন্সকার্ট থেকে চশমা কিনতে গিয়ে একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন। তিনি ফোন নম্বর দিতে অস্বীকার করেন এবং দোকানের হেড ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। শেষ অবধি দোকানের এক কর্মীর ফোন নম্বর দিয়ে বিল বানানো হয়। তাঁর অভিযোগ, রিটেল চেইন সংস্থাগুলি এই ব্যবস্থা তৈরি করেছেন ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মহুয়া মৈত্রও টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ফোন নম্বর দিতে অস্বীকার করায় দোকানের ‘মিষ্টি ম্যানেজার’ নিজের ফোন নম্বর দিয়ে দেন বিল তৈরির জন্য। তৃণমূল সাংসদের দাবি, সংস্থার উচিত তাদের এই ব্য়বস্থাকে পরিবর্তন করার।

সাংসদ আরও জানান, তিনি বরাবর ইংল্যান্ডের ডিক্যাথলনের দোকান থেকে সামগ্রী কিনেছেন, কিন্তু কখনওই তাঁরা মোবাইল নম্বর চান না। একমাত্র ‘পেপারলেস’ বিল চাইলেই সেক্ষেত্রে ইমেইল আইডি চাওয়া হয়। সুতরাং ভারতে ডিক্যাথলনের শাখা ক্রেতাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: Passenger Train Cancel: চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের, মালগাড়িকে ‘পথ’ ছাড়তে বাতিল হচ্ছে ৬০০-রও বেশি ট্রেন!

আরও পড়ুন: COVID-19 in India: মার্চের রেকর্ড ভাঙল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনেই করোনায় মৃত্যু ৬০ জনের