
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ‘দোস্তি’, বাংলায় ‘কুস্তি’। আর এই নীতিতে আপাতত কোনও বদলই নেই। বছর ঘুরলেই আরও একটা বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিক নিয়মেই লড়বে শাসক-বিরোধী। কিন্তু চলতি বছরের নির্বাচনী সমীকরণে কোনও ‘জোটের ছোঁয়া’ কি থাকবে?
সাম্প্রতিককালে, বিশেষ করে দিঘা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের SIR ইস্যু তুলে ধরার পর জাতীয় স্তরে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সম্পর্কের সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে। অভিষেক-রাহুলের কানাঘুষো দূরত্ব ঘুঁচে হয়েছে সম্পৃক্ত। আর এই আবহে বাংলায় ভোটাভুটি পর্ব। আসন সমঝোতা কি হবে?
অভিষেক জানালেন, তৃণমূল ‘একা’ই লড়বে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় একা লড়ার নীতিতেই ‘অনড়’ তৃণমূল, দাবি সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। তাঁর সংযোজন, “সংসদে সখ্যতা বাড়লেও এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আসন নিয়ে আলোচনা নয়। আর তারপরেও কোনও ভাবে উল্টো দিক থেকে সমঝোতা প্রস্তাব আসে তা হলে সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তবে আসন সমঝোতায় তৃণমূল পাশে না থাকলেও, রয়েছে প্রচারকাজে। জানা গিয়েছে, বিহারের ভোটে আরজেডি ও কংগ্রেস তাদের প্রচারের আবেদন জানালে, সেখানে যাবে তৃণমূল। আর ঠিক যাবে বললেও চলে না, কারণ যাচ্ছে। পয়লা সেপ্টেম্বর রাহুল-তেজস্বীর ব়্যালিতে প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে বাংলার শাসকশিবির। এই কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধীর বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজের দিনই মমতা-অভিষেককে পটনায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তেজস্বী।