ঝাড়খণ্ড: মাওবাদী (Maoist) দমনে বড় সাফল্য পেল ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police)। গ্রেফতার করা হল সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু (Prashanth Bose) ওরফে কিষাণ দা(Kishan Da)-কে। তাঁর স্ত্রী শীলা মারান্ডি(Sheela Marandi)-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে একই সঙ্গে। চিকিৎসার জন্য তাঁরা জামসেদপুরে (Jamshedpur) এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে তাঁদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
যাদবপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত বসু মাওবাদী সংগঠনের অন্যতম প্রবীণ নেতা। সিপিআই ও মাওবাদী সংযুক্তিকরণের সময় মিলিটারি কমিশনের প্রধান ছিলেন এই “কিষাণ দা”। একইসঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় রিজিওনাল কমিটির সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরার জন্য ২ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফেও ১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল কিষাণদা সম্পর্কে কোনও তথ্য বা তাঁকে ধরিয়ে দিলে।
এ দিন জামশেদপুরের চন্ডেলের কাছে একটি বাড়ি থেকে সস্ত্রীক ওই মাওবাদী শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তবে অন্ধ্র প্রদেশের স্পেশাল ইন্টেনিজেন্স ব্যুরোর সদস্য, যারা মাওবাদী দমন কর্মসূচির সঙ্গে যুকেত, তারাও সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত বসু ওরফে কিষাণ দা-র স্ত্রী শীলা মারান্ডিও সক্রিয়ভাবে মাওবাদী সংগছনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিপিআই (মাও) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন তিনি। বিগত পাঁচ বছর ধরে তিনি মাওবাদী মহিলা সংগঠনের দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন। এর আগে ২০০৬ সালে শীলা মারান্ডিকে রৌরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
একাধিক নামে পরিচিত কিষাণ দা বর্তমানে সিপিআই-মাও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মাওবাদীদের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ও পূর্বস্থলীয় রিজিওনাল ব্যুরোর সদস্যও ছিলেন। তিনি মূলত উত্তর-পূর্ব ভারত, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশের মাওবাদী কার্যকলাপের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
৭৫ বছর বয়সী কিষাণদার আসল নাম প্রশান্ত বসু হলেও তিনি নির্ভয় মুখোপাধ্যায়, কাজল ও মহেশ নামেও পরিচিত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি সক্রিয়ভাবে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও ঝাড়খণ্ডের সারান্ডা জঙ্গল থেকেই যাবতীয় কাজ চালাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতিই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি গেরিলা জ়োন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং শহরাঞ্চলে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছিলেন। এ দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ। জামশেদপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
মাওবাদী শীর্ষনেতার গ্রেফতারিতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ গোটা ভারতেই মাওবাদী সংগঠনে বড় ধাক্কা লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের বিরোধিতা, কুণাল ঘোষের জেরা শুরু করল ত্রিপুরা পুলিশ
আরও পড়ুন: Pakistani Terrorist: উপত্যকা জুড়ে ছদ্মবেশে লুকিয়ে রয়েছে ৩৮ পাক জঙ্গি! চাঞ্চল্য গোয়েন্দা রিপোর্টে
ঝাড়খণ্ড: মাওবাদী (Maoist) দমনে বড় সাফল্য পেল ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police)। গ্রেফতার করা হল সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু (Prashanth Bose) ওরফে কিষাণ দা(Kishan Da)-কে। তাঁর স্ত্রী শীলা মারান্ডি(Sheela Marandi)-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে একই সঙ্গে। চিকিৎসার জন্য তাঁরা জামসেদপুরে (Jamshedpur) এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে তাঁদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
যাদবপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত বসু মাওবাদী সংগঠনের অন্যতম প্রবীণ নেতা। সিপিআই ও মাওবাদী সংযুক্তিকরণের সময় মিলিটারি কমিশনের প্রধান ছিলেন এই “কিষাণ দা”। একইসঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় রিজিওনাল কমিটির সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরার জন্য ২ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফেও ১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল কিষাণদা সম্পর্কে কোনও তথ্য বা তাঁকে ধরিয়ে দিলে।
এ দিন জামশেদপুরের চন্ডেলের কাছে একটি বাড়ি থেকে সস্ত্রীক ওই মাওবাদী শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তবে অন্ধ্র প্রদেশের স্পেশাল ইন্টেনিজেন্স ব্যুরোর সদস্য, যারা মাওবাদী দমন কর্মসূচির সঙ্গে যুকেত, তারাও সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত বসু ওরফে কিষাণ দা-র স্ত্রী শীলা মারান্ডিও সক্রিয়ভাবে মাওবাদী সংগছনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিপিআই (মাও) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন তিনি। বিগত পাঁচ বছর ধরে তিনি মাওবাদী মহিলা সংগঠনের দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন। এর আগে ২০০৬ সালে শীলা মারান্ডিকে রৌরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
একাধিক নামে পরিচিত কিষাণ দা বর্তমানে সিপিআই-মাও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি মাওবাদীদের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ও পূর্বস্থলীয় রিজিওনাল ব্যুরোর সদস্যও ছিলেন। তিনি মূলত উত্তর-পূর্ব ভারত, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশের মাওবাদী কার্যকলাপের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
৭৫ বছর বয়সী কিষাণদার আসল নাম প্রশান্ত বসু হলেও তিনি নির্ভয় মুখোপাধ্যায়, কাজল ও মহেশ নামেও পরিচিত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি সক্রিয়ভাবে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও ঝাড়খণ্ডের সারান্ডা জঙ্গল থেকেই যাবতীয় কাজ চালাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতিই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি গেরিলা জ়োন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং শহরাঞ্চলে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছিলেন। এ দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ। জামশেদপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
মাওবাদী শীর্ষনেতার গ্রেফতারিতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ গোটা ভারতেই মাওবাদী সংগঠনে বড় ধাক্কা লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের বিরোধিতা, কুণাল ঘোষের জেরা শুরু করল ত্রিপুরা পুলিশ
আরও পড়ুন: Pakistani Terrorist: উপত্যকা জুড়ে ছদ্মবেশে লুকিয়ে রয়েছে ৩৮ পাক জঙ্গি! চাঞ্চল্য গোয়েন্দা রিপোর্টে