Bangladesh Infiltrators: কে এপারের, কে ওপারের? বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ‘আসল ঠিকানায়’ ফেরত পাঠাতে গঠন সিট
Bangladesh Infiltrators: এদিন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, 'আগের তুলনায় ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের ঘটনা কমলেও, তা একেবারে থেমে যায়নি। আর সেই অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করতেই এই সিট গঠন করা হয়েছে।'

আগরতলা: কে এই পারের আর কে ওই পারের, তা চিহ্নিত করতে এবং অবৈধ অভিবাসীদের তাদের ‘আসল ঠিকানায়’ পাঠাতে কড়া সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা সরকারের। এদিন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবৈধ ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে গঠন করা হল বিশেষ টাস্ক ফোর্স।
জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশের ওই টাস্ক ফোর্সে থাকছেন মোট ১৫ জন সদস্য। যার নেতৃত্বে থাকবেন ওই জেলার পুলিশ সুপার দেবাশিস সাহা। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বা এই দেশ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যেই এই টাস্ক ফোর্সের গঠন করা হয়েছে।
মূলত, বাংলাদেশের সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার সীমানা ভাগ করার কারণে ত্রিপুরায় গোটা দেশের মধ্য়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পাকড়াও হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এদিন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, ‘আগের তুলনায় ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের ঘটনা কমলেও, তা একেবারে থেমে যায়নি। আর সেই অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করতেই এই সিট গঠন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ইস্যু। গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে সীমান্তের ওই পারে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর থেকেই বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে আসরে নামে তৃণমূল। পিছিয়ে থাকে না বিজেপি। রাজ্য়ে তারা যেমন সেই একই ইস্যুতে ধার দিতে শুরু করে। সেই সময়ই অসম ও ত্রিপুরা নামে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে, মত ওয়াকিবহল মহলের।

