ত্রিপুরা: এবার ত্রিপুরা সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনব কর্মসূচির কথা শোনা যাচ্ছে। ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে খবর, এই প্রথমবার কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে খাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত আগরতলা পুরভোটে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বাড়িতেই যাবেন অভিষেক। সেখানেই এই খাওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচিকে নিশানা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এলাকার কোনও সাধারণ মানুষের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার কর্মসূচি। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও সেই পথেই কি হাঁটতে চলেছেন, এ প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
যদিও ত্রিপুরা তৃণমূলের একাংশ বলছে, এর সঙ্গে বিজেপির কর্মসূচিকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। কারণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত ত্রিপুরা ভোটে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেই যাবেন। সেখানেই কারও বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন, আবার কারও বাড়িতে বিকেলের চা খাবেন।
রবিবার সকালে দু’দিনের সফরে আগরতলায় যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে গিয়ে চতুরদশা দেবতা মন্দিরে পুজো দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। এর পর দলীয় কর্মী অনির্বাণ সরকারের বাড়িতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। অনির্বাণের বাড়িতে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। তাঁর সঙ্গে অনির্বাণের বাড়িতে যাবেন কালী টিলা, তেলিয়ামুড়ার তৃণমূল কর্মীরা।
এরপর সন্ধ্যায় আরেক দলীয় কর্মী তপনকুমার বিশ্বাসের বাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। তাঁর কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরেক কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টিও। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সোমবার দলের রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃত্ব এবং সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক। সাংবাদিক বৈঠক করার কথাও অভিষেক সূচিতে রয়েছে বলে ত্রিপুরা তৃণমূল সূত্রে খবর। সোমবার বিকেলে ত্রিপুরা থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা অভিষেকের।
অভিষেকের এই ত্রিপুরা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল মনে করছে, খুবই অল্প সময়ের ব্যবধানে ত্রিপুরা পুরনির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক শক্তি সত্ত্বেও ভাল ফল করেছে তৃণমূল। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর তৃণমূলের কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতা ত্রিপুরা যাননি। তাই দলীয় কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক।
এর আগে ত্রিপুরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল অভিষেকের গলায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, “ত্রিপুরাতে তিন মাসের মধ্যে আমরা পা রেখে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। ভারতের কোনও রাজনৈতিক দল এই নজির তৈরি করতে পারেনি। তৃণমূল আর যাই হোক মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ না করে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তৃণমূল লড়বে।”
আরও পড়ুন: Covid Vaccine: টিকাকরণে ১৪৫ কোটির মাইলফলক পার করেছে ভারত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী