মাথা ফাটল সুদীপের, ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল

ত্রিপুরার আমবাসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।

মাথা ফাটল সুদীপের, ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল
ছবি- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার থেকে প্রাপ্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 4:14 PM

আগরতলা: ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। আক্রান্ত তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত ও দেবাংশু ভট্টাচার্য। ঘটনায় সুদীপ রাহার মাথা ফেটে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিজেপির লোকজনই তাঁদের লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়ে। আর তাতেই আক্রান্ত হয়েছেন তরুণ নেতারা। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামিকালই ত্রিপুরা যাচ্ছেন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, তৃণমূলই অশান্তি ছড়াচ্ছে ত্রিপুরায়।

বাংলার বাইরে ত্রিপুরা এবার তৃণমূলের অন্যতম পাখির চোখ। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো নেতারা গিয়েছেন ত্রিপুরায়। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা গেলে, তাঁকেও আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এ বার তৃণমূলের তিন যুব নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটল।

জানা গিয়েছে, আজ শনিবার আমবাসার ওপর দিয়ে গড়িতে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতারা। সংগঠনের কাজেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় কেউ বা কারা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়তে থাকে। গাড়ির কাঁচ ভেঙে আহত হন তাঁরা। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার। জয়া দত্তও আহত হন। যুব নেতা দেবাংশু তাঁর ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিয়োতে দেখান, কী ভাবে ভেঙেছে গাড়ির কাচ। তিনি জানান, এমনভাবে গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে যে, প্রত্যেকের গায়ে কাচের টুকরো ভর্তি হয়ে গিয়েছে।

এই ঘটনার পরই টুইট করে নিন্দা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি তাদের আসল রঙ দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় বিজেপির গুণ্ডা রাজ সামনে এসেছে। বিজেপির এই হামলা আর হুমকি অমানবিকতার পরিচয়। এক ইঞ্চিও ছাড়বে না তৃণমূল।

এই ঘটনার পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি যখন ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন, তখন তাঁর গাড়িও ফলো করছিল কেউ। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এমন কাজ করছে।’ কুণালের কথায়, ‘ত্রিপুরা বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি ও ব্রাত্য বসু ত্রিপুরায় যাবেন বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, এই ধরনের অশান্তির জন্য আসলে তৃণমূলই দায়ি বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় গত পাঁচ বছরে কোনও অশান্তি হয়নি। ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূলই।’ তাঁর দাবি, বাংলায় হিংসা, হানাহানির ঘটনার পর এ বার তৃণমূল ত্রিপুরায় রাজনৈতিক অশান্তি ছড়াচ্ছে। আরও পড়ুন: বিকেলে হাঁটতে বেরিয়েই প্রাণঘাতী হামলার মুখে মুখ্যমন্ত্রী! গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা বিপ্লব দেবকে, গ্রেফতার ৩