সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট করায় সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়কের মেয়ে

সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোনও কারণ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে অনিন্দিতাকে (Anindita Bhowmik)

সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট করায় সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়কের মেয়ে
বিধায়কের মেয়ে অনিন্দিতা ভৌমিক
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2021 | 4:42 PM

আগরতলা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে ত্রিপুরা (Tripura) সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকি বিপ্লব দেব (Biplab Deb) নেতৃত্বাধীন বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধিতা করেছে দলের বিধায়কেরাই। এবার বিজেপির এক বিধায়কের মেয়েকেই সাসপেন্ড করা হল সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট করার জেরে। সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি বিধায়কের মেয়ে অনিন্দিতা ভৌমিককে (Anindita Bhowmik)।

ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফিজিওথেরাপিস্ট অনিন্দিতা। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। একটি মেশিন কেনার কথা উল্লেখ করে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। এরপরই হাসপাতালের সরকারি চাকরি থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনিন্দিতা। ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিকের মেয়ে তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সাম্প্রতিককালে একটি মেশিন নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন অনিন্দিতা। তিনি লিখেছেন, কোনও টেন্ডারিং এর প্রক্রিয়া ছাড়াই ওই মেশিন নেওয়া হয়েছে। বিনা টেন্ডারে প্রাইভেট সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নতুন মেশিন কেনা হল না সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনিন্দিতা। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করার জন্য বার বার চাপ দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি পোস্ট ডিলিট না করায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তিনি বলেছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বার বার চাপ দিতে থাকে। তা সত্ত্বেও আমি পোস্ট উড়িয়ে দিতে রাজি হইনি।’ এরপরই তাঁকে কোনও কারণ ছাড়াই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় আইনি পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন অনিন্দিতা। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পাঁচদিনের লকডাউন? ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা জানাল প্রশাসন

কিছুদিন আগে দলীয় বিধায়কদের চাপেই এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত হন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সরকারি শূন্য পদ হারানোর জন্য এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিলেন তিনি। এরপর বিরোধীদের পাশাপাশি দলীয় বিধায়কদের তরফ থেকেও চাপ আসতে শুরু করে। দলের অন্দরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক বিধায়ক। এরপর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য থাকবে বিপ্লব দেব।