অভিষেক চাইলে টুসকি বাজিয়ে বিপ্লবের সরকার ফেলে দিতে পারেন: কুণাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 15, 2021 | 5:36 PM

Kunal Ghosh: "অভিষেক মনে করলে টুসকি বাজিয়ে বিপ্লবের সরকার ফেলে দিতে পারে। সেই জায়গায় আছে তৃণমূল।''

অভিষেক চাইলে টুসকি বাজিয়ে বিপ্লবের সরকার ফেলে দিতে পারেন: কুণাল
ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতা: ফের তৃণমূলের (TMC) ওপর হামলার অভিযোগ উঠল ত্রিপুরায় (Tripura)। রবিবার একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে তৃনমূল নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন দোলা সেনা, অপরূপা পোদ্দার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী। আর এ নিয়ে তৃমমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘অভিষেক মনে করলে টুসকি বাজিয়ে বিপ্লবের সরকার ফেলে দিতে পারে।’ কুণাল দাবি করলেন, ত্রিপুরার বিজেপি নেতারাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

রবিবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল বলেন, “ত্রিপুরায় জঙ্গল রাজ্যের সরকার চলছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন যে এমন হামলা হতে পারে তা ডবল ইঞ্জিনের সরকার না দেখলে বোঝা যেত না। দোলা সেনদের কুৎসিত আক্রমণ হয়েছে। দফায় দফায় মোট তিনবার হামলা হয়েছে। দোলার সহায়ক গুরুতর জখম হয়েছেন। অপরূপা পোদ্দারের ফোন ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এক বৃদ্ধা তুলে দজিয়েছেন বলে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটা কী! ত্রিপুরায় স্বাধীনতা নেই। অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে।”

কুণাল আরও বলেন, “দুই মহিলা সাংসদকে যেভাবে আক্রণ করাল হল তা উদ্বেগজনক। তৃণমূলের কর্মী এবং যাঁরা পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে আহত হচ্ছেন!”

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের কথায়, “আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই হামলা আর মামলা। অলিখিত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে ত্রিপুরায়।” এর পর ত্রিপুরা পুলিশকে একহাত নিয়ে মানবাধিকার কমিশনকেও কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। বলেন, “হামলা ও মামলা দুটোই করছে ওরা! মার খেলেন যাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধেই হামলা হচ্ছে।” মানবাধিকার কমিশনকে দলদাস ও বিজেপির শাখা সংগঠন বলে ব্যঙ্গ করে কুণালের সংযুক্তি, “অভিষেক মনে করলে টুসকি বাজিয়ে বিপ্লবের সরকার ফেলে দিতে পারে। সেই জায়গায় আছে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল সরকার বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা মনে করেন না। বিজেপির বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু আমরা মানুষের সমর্থনে, ভোটে জিতে এই সরকারকে উৎখাত করে সরকার গড়ব। মানুষের মহাজোট সঙ্গে থাকবে।” পুরো পরিস্থিতির দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজর রাখছেন বলে মন্তব্য কুণালের।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় আইপ্যাকের টিমকে আটকে রাখার মধ্যে দিয়ে শুরু বিরোধ। তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা পৌঁছলে তাঁর উপর আক্রমণ নেমে আসার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। গ্রেফতার করা হয় তিন যুব নেতা-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতাকর্মীকে। এবার রবিবার স্বাধীনতা দিবসে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিপ্লব রাজ্যে। আরও পড়ুন: ফের ত্রিপুরায় হামলার অভিযোগ তৃণমূলের, ডিজি-কে ফোন করলেন দোলা সেন 

Next Article