আগরতলা : ভোটমুখী ত্রিপুরায় এবার নজর কেন্দ্রের। ত্রিপুরার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা বরাদ্দ করলেন নরেন্দ্র মোদী। ৭০৯ কোটি টাকায় তৈরি হবে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বাড়ি। একইসঙ্গে পূর্বের সরকারকেও দুর্নীতি নিয়ে বক্রোক্তি করতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী। আগের সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন, “আগের সরকারের আমলে কাটমানি ছাড়া কাজ এগোত না।”
আজ এক ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) প্রথম কিস্তির টাকা বরাদ্দ করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘পূবে তাঁকাও নীতি’র কথা আজ আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে। বললেন, “আজ ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি এক বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী থাকছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) আজ যে প্রথম কিস্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে ত্রিপুরার স্বপ্নে নতুন মনোবল দিচ্ছে।”
At 1 PM today, the first instalment of Pradhan Mantri Awaas Yojana – Gramin (PMAY-G) would be given to 1.47 lakh beneficiaries of Tripura. This will give a big impetus towards empowering the people of the state. https://t.co/YCQSDZL4od
— Narendra Modi (@narendramodi) November 14, 2021
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর, ত্রিপুরার ভৌগোলিক এবং জলবায়ুগত পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের জন্য কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞা বদলে যাবে। যে সব উপভোক্তারা এতদিন কাঁচা বাড়িতে থাকছিলেন, সেই বিপুল সংখ্যক উপভোক্তা এবার থেকে ‘পাকা’ বাড়ি তৈরির সুবিধা পাবেন।”
Fulfilling the aspirations of the people of Tripura. https://t.co/3ZU9tEquH9
— Narendra Modi (@narendramodi) November 14, 2021
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই বিশাল কর্মকান্ডের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিপ্লব দেব এবং তার সরকারকে এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরানো কাজ করার পদ্ধতি এবং পুরানো মনোভাব পরিবর্তন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বিপ্লব দেব যে তারুণ্যের শক্তি নিয়ে কাজ করছেন, সেই শক্তি আজ ত্রিপুরা জুড়ে দেখা যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সামনেই ত্রিপুরায় পৌরভোট রয়েছে। আর তার আগে ত্রিপুরাবাসীর জন্য এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা বরাদ্দ করা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের এক কৌশলী চাল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ৭০৯ কোটি টাকায় তৈরি হবে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বাড়ি। আর এই ‘মোদী ম্যাজিকে’র প্রতিফলন ত্রিপুরার ইভিএমে কতটা পড়তে চলেছে, সেই দিকেই তাকিয়ে থাকছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।