ত্রিপুরা: বিজেপি (BJP) শাসিত ত্রিপুরায় (Tripura) আইনি গেরোয় তৃণমূল (TMC)। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা (Abhishek Banerjee) কোনও মিটিং-মিছিল করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা জারি সভাতেও। করোনা (Corona)র কারণ দেখিয়ে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে কোনওরকম সভা-সমিতি করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা আনল বিপ্লব দেবের। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর পিছনে কারণটা নেহাতই রাজনৈতিক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) তৃতীয়বারের পদযাত্রার অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি গড়ায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট (Trpura Hish Court) পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ত্রিপুরা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির (Covid Situyation) দিকে খেয়াল রেখে কোনও সভা-সমিতি-মিছিলের অনুমতি তারা দিচ্ছে না। এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্ট জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কোনওভাবে আদালত হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ফলত আগামী বুধবার যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা ছিল বিপ্লব-রাজ্যে, তা বাতিল করতে হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, করোনার দোহাই দিয়ে অভিষেককে আটকাতেই এই আইনি গেরো তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। কারণ, এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তখন কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল আরেকটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর তার পর বিশ্বকর্মা পুজোর কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় অভিষেকের পদযাত্রা। একের পর এক তারিখ খারিজের পর এল করোনা পরিস্থিতির দোহাই।
তৃণমূলের খোঁচা অভিষেককে আসলে ভয় পাচ্ছেন বিপ্লব দেবরা। তাই নানা বাহানায় তাঁর কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, এটা বিপ্লব দেব বা বিজেপির সিদ্ধান্ত নয়। অতিমারি পরিস্থিতি দেখেশুনে সরকার থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, এদিনই ত্রিপুরায় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ (Tripura Police)। সেই এদিন হাজিরা দেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদও চলে বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু থানাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, সুগার লেভেল বেশি ও প্রেসার কম থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর।
পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর কুণাল ঘোষ সহযোগিতা করেছেন বলে চিঠিও দেওয়া হয় থানার তরফে। সেখান থেকে বেরনোর মুখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল ত্রিপুরা আইএলএস হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: থানাতেই অসুস্থ কুণাল ঘোষ, নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে