Khela Hobe Diwas: দলনেত্রীর ‘নিষেধ’, খেলা হবে দিবসে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন না তৃণমূলের জয়া, সুদীপরা

ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা বা জয়া দত্তরা সোমবার ফের আগরতলা পৌঁছলে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁদের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হতে পারে সেক্ষেত্রে।

Khela Hobe Diwas: দলনেত্রীর 'নিষেধ', খেলা হবে দিবসে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন না তৃণমূলের জয়া, সুদীপরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 2:02 PM

কলকাতা: আপাতত ত্রিপুরা যাচ্ছেন না সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। কথা ছিল আগামী ১৬ অগস্ট খেলা হবে দিবসে ত্রিপুরা যাবেন তাঁরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাতে সম্মতি নেই। সে কারণেই আপাতত সেই সফর স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী চান না শরীরের এই অবস্থা নিয়ে জয়ারা এখনই কোথাও যান। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, দেবাংশু, জয়ারা এখন ত্রিপুরা গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে পারে পুলিশ। সেই ঝামেলা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।

ত্রিপুরাকে এখন পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। ২০২৪-এর মধ্যে সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিজেদের বিস্তার ঘটানোই তাদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে শুরু হয়েছে দুই ফুলের টক্কর। একদিকে তৃণমূল যখন পড়শি রাজ্যে নিজেদের মাটি তৈরির চেষ্টা করছে। বিজেপি তখন নিজেদের ঘাঁটিতে কাউকে ঢুকতে দিতে নারাজ। বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরার লড়াই জোরাল হবে। গত সপ্তাহেই ত্রিপুরায় গিয়ে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। জামিনে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। কথা ছিল ১৬ অগস্ট ফের ত্রিপুরা যাবেন বাংলার এই যুব নেতারা। কিন্তু তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে সুদীপ, জয়াকে দেখতে যান। শারীরিক অবস্থার কথা ভেবেই আপাতত তাঁদের যেতে না করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, তাঁরা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর। এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে জয়া দত্তকে। তবে সুদীপ রাহাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে।

তবে ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা বা জয়া দত্তরা সোমবার ফের আগরতলা পৌঁছলে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁদের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হতে পারে সেক্ষেত্রে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, সে কারণেই এই ঝুঁকি তৃণমূল নিতে চাইছে না। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরায় হিংসার সরকার চলছে। তার কাছে তৃণমূল কোনও ভাবেই মাথা নোয়াবে না। তাই সেখানে গেলে কে গ্রেফতার হতে পারে তা নিয়ে ঘাসফুল শিবির মোটেই বিচলিত নয়। তাই এই আশঙ্কা থেকে জয়াদের ত্রিপুরা সফর স্থগিত রাখা হয়েছে এ কথার কোনও ভিত্তি নেই। অসুস্থ ছেলে মেয়েগুলো আপাতত বিশ্রাম নিন, সেটাই চান দলনেত্রী। সুস্থ হলে ফের ত্রিপুরা যাবেন তাঁরা।

আগামী ১৬ অগস্ট অন্যান্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও তৃণমূল ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করবে। পাহাড় থেকে সমতল সব জায়গায় ওই দিন পালন করার কথা বলা হয়েছে। খেলা দিবস উপলক্ষে ১ লক্ষ ফুটবল বিতরণ করা হবে ত্রিপুরায়। এই বিশেষ কর্মসূচির আগে বেশিভাগ সাংসদকেই ত্রিপুরা যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। রাজ্যসভা ও লোকসভার সকলেই এই কর্মসূচিতে সামি হোন, চান মমতা। তবে সুখেন্দুশেখর রায় বা সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান সাংসদদের এ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ টাকার বদলে ‘খুন’! মঙ্গলকোট-কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী রাজু শেখ