কলকাতা: কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে (SSKM Hospital) মারা গেলেন ত্রিপুরাতে (Tripura) আক্রান্ত ৫৬ বছর বয়সী তৃণমূল কর্মী মজিবুল ইসলাম মজুমদার (Majibul Islam Majumder)। গত বছর ২৮ অগস্ট ত্রিপুরাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান চলাকালীন আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মজিবুলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কলকাতা নিয়ে এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তিনি মারা গিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি ত্রিপুরা গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজই ১৫ দফা দাবিতে ত্রিপুরায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। রাজভবন অভিযানের দিনই এই মৃত্যু ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে মৃত মজিবুল, ত্রিপুরার বিগত কংগ্রেস সরকারে কৃষিমন্ত্রী মনসুর আলির পুত্র। তাঁর দাদা বাহারুল ইসলাম মজুমদার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। হাসাপতাল সূত্রে খবর, ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল তাঁর হাতেও গুরুতর আঘাত ছিল। আক্রান্ত হওয়ার পরই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। সেখানে তাঁর অস্ত্রপ্রচার করা হলেও অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল বলেই হাসাপাতাল সূত্রে খবর। আজ ভোর ৫ টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই মৃত্যুর জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন তৃণমূল। বর্ষীয়ণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, “ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করার কারণে তাঁকে প্রাণ দিতে হল। এর থেকেই বোঝা যায় ত্রিপুরাতে বিজেপি কতটা হিংস্র। হিংসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরনের ঘটনা যত ঘটবে ত্রিপুরাতে তৃণমূল তত বেশি শক্তিশালী হবে। ”
আরও পড়ুন J&K Encounter: বছরের প্রথম সপ্তাহেই একের পর এক সাফল্য জঙ্গি দমন অভিযানে, পুলওয়ামায় খতম ৩ জইশ জঙ্গি