আগরতলা: অনেকেই বলে ধর্ষণ ভারতের অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা। অনেকেই বলেন ভারতে ধর্ষণ নিয়ে কড়া আইন নেই তাই হয়ত অনেকেই এই গর্হিত কাজ করে, শুধুমাত্র দুর্বল আইনের কারণে পার পেয়ে যান। অনেক সময় আবার দেখা যায়, অভিযুক্ত ধরা পড়লেও তাঁর শাস্তি হতে হতে বিস্তর সময় কেটে যায়। কিন্তু ত্রিপুরাতে এই ধর্ষণ নিয়ে এমন এক ঘটনা ঘটল, যাতে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। একদল মহিলাই ধর্ষণকারীর জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনলেন। তারা যে কাজ করেছেন, আইনে হয়ত তার অনুমতি দেয় না। কিন্তু মনের অলিন্দে কোথাও না কোথাও মনে হবেই, তারা যা করেছেন ঠিকই করেছেন।
ত্রিপুরাতে ৪৬ বছর বয়সী ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে বুধবার একদল মহিলা গাছে বেঁধে চরম শাস্তি দিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি গাছে বেঁধে মৃত্যু অবধি উদ্দাম মার মেরেছেন ওই মহিলারা। মহিলাদের মারে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ত্রিপুরার ঢালাই জেলার গন্ডচেরা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ৮ বছর জেল খেটেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নিজের মায়ের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু কন্যাকে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তিনি নির্যাতন করেন। এরপর সেই নাবালিকাকে সেখানে রেখে চলে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ওই শিশু কন্যাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এবং তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দাবি ছিল, মেয়েটিকে শেষবার ওই জেলখাটা আসামির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তাই যাবতীয় সন্দেহ ওই ব্যক্তির ওপর গিয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি চেয়ে স্থানীয় হাইওয়ে অবরোধ করা হয়েছিল। বুধবার স্থানীয় মহিলারা তাঁকে স্থানীয় গ্রামে ধরে ফেলেন। তাঁকে গাছে বেঁধে চলে উত্তম মধ্যম প্রহার। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছিল। এমনভাবে ওই ব্যক্তিকে মারা হচ্ছিল তিনি ঘটনাস্থলে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পডুন India-Pakistan: পাল্টা ভারতে ‘মিসাইল হানার’ পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান? রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি