TATA Group: রতন টাটার প্রয়াণের পর ‘গোষ্ঠী-কোন্দল’, শেষমেশ ময়দানে নামলেন নির্মলা সীতারামন-অমিত শাহ

TATA Group Inner Clash: টাটা গ্রুপের মধ্যে এই অস্থিরতার খবর পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নোয়েল টাটাস ভাইস চেয়ারম্যন বেণু শ্রীনিবাসন, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এবং ট্রাস্ট্রি সদস্য ডারিয়াস খামবাটার সঙ্গে কথা বলেন।

TATA Group: রতন টাটার প্রয়াণের পর গোষ্ঠী-কোন্দল, শেষমেশ ময়দানে নামলেন নির্মলা সীতারামন-অমিত শাহ
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI

|

Oct 08, 2025 | 3:46 PM

নয়া দিল্লি: রতন টাটার প্রয়াণের পরই টাটা গ্রুপে (TATA Group) অশান্তি? বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। টাটা গ্রুপের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে ঝামেলা দেখে চুপ করে থাকতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকারও। টাটা ট্রাস্টে আবার আগের মতো স্থিতাবস্থা ফেরানোর কথা বলল সরকার।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রতন টাটার অবর্তমানে দেশের সবথেকে বড় কনগ্লোমারেটে, টাটা ট্রাস্টের চারজন ট্রাস্ট্রি ‘সুপার বোর্ড’ হিসাবে কাজ করছেন। টাটা গ্রুপের নতুন চেয়ারম্যান নোয়েল টাটার কর্তৃত্ব মানতে নারাজ তারা। নোয়েল টাটার নির্দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

জানা গিয়েছে, টাটা গ্রুপের মধ্যে এই অস্থিরতার খবর পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নোয়েল টাটাস ভাইস চেয়ারম্যন বেণু শ্রীনিবাসন, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এবং ট্রাস্ট্রি সদস্য ডারিয়াস খামবাটার সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে এবং সেই বৈঠকেই কেন্দ্রের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয় যে টাটা গ্রুপে যেভাবেই হোক, স্থিতাবস্থা ফেরাতে হবে। আভ্যন্তরীণ বিরোধ যেন টাটা সন্স-র কাজে কোনওভাবে প্রভাব না ফেলে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে টাটা গ্রুপের শীর্ষকর্তারা যেন পদক্ষেপ করেন, যদি কোনও ট্রাস্টির জন্য গ্রুপে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়,তাহলে প্রয়োজনে তাঁকে বাদও দিতে পারেন। টাটা গ্রুপের বিশাল আকার, বাজারে তার প্রভাব, অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। টাটা গ্রুপের অন্দরে যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা গোপনে এবং সংস্থার অন্দরেই যেন মিটিয়ে ফেলা হয়। জনসমক্ষে বিষয়টি নিয়ে যেন শোরগোল না হয়।

জানা গিয়েছে, মুম্বই ফেরার আগে টাটা গ্রুপের ৪ প্রতিনিধি নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেন। সূত্রের খবর, দারিয়াস খামবাটা, জাহাঙ্গির এইচসি, প্রমিত জাভেরি ও মেহলি মিস্ত্রি- এই চারজন ট্রাস্টিই সমস্যার মূলে। তারা ভেটোর ক্ষমতা প্রয়োগ করে টাটা সন্সের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন এবং ডিরেক্টর নিয়োগ করেছেন। এই নিয়েই সংস্থার অন্দরে  শোরগোল পড়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর ৯ অক্টোবর রতন টাটার প্রয়াণের পরই টাটা গ্রুপের মধ্যে বিভেদ, বিরোধ দেখা গিয়েছে। নোয়েল টাটা ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।