Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crime: স্বপ্ন ছিল নতুন সংসার পাতার, প্রেয়সীর এক কথাতেই মুখে রক্ত তুলে জোগাড় করে দিয়েছিলেন সাড়ে ৬ কোটি, তারপরই শুরু ‘আসল খেলা’

Crime: অনিতার কথায় নিজের সঞ্চয়ের পুরো টাকাই বিনিয়োগ করেন দলজিৎ। যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এরপর অনিতার পরামর্শে আরও ২ কোটি টাকা ঋণ নেন। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি ট্রান্সফার করেন।

Crime: স্বপ্ন ছিল নতুন সংসার পাতার, প্রেয়সীর এক কথাতেই মুখে রক্ত তুলে জোগাড় করে দিয়েছিলেন সাড়ে ৬ কোটি, তারপরই শুরু 'আসল খেলা'
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 6:27 PM

নয়াদিল্লি: মনের মানুষ খুঁজছিলেন। সেজন্য একটি ডেটিং অ্যাপে প্রোফাইল খুলেছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তি। ওই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়ও হল। আর সেই তরুণীর পরামর্শেই ৬.৩ কোটি টাকা খোয়ালেন নয়ডার এক ব্যক্তি।

দলজিৎ সিং নামে নয়ডার ওই ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছিন্ন। আরও একবার সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেজন্যই গত বছর ওই ডেটিং অ্যাপে প্রোফাইল খোলেন। দলজিৎ দিল্লির একটি সংস্থার ডিরেক্টর। গত বছরের ডিসেম্বরে ওই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অনিতা নামের এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। অনিতা জানান, তাঁর বাড়ি হায়দরাবাদে।

ধীরে ধীরে দলজিৎ ও অনিতার বন্ধুত্ব বাড়ে। দলজিতকে ‘বশে’ আনার পর একদিন অনিতা বলেন, দলজিৎ তাঁর টাকা বিনিয়োগ করে বড় লাভ করতে পারেন। অনিতা তিনটি সংস্থার নাম বলেন। অনিতাকে বিশ্বাস করেন দলজিৎ।

এই খবরটিও পড়ুন

দলজিৎ প্রথমে একটি ওয়েবসাইটে ৩.২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২৪ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। আয়ের ৮ হাজার টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। কোনও সমস্যা না হওয়ায় অনিতার প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায় দলজিতের। তাঁর মনে হয়, অনিতা তাঁর ভালই চাইছেন।

অনিতার কথায় নিজের সঞ্চয়ের পুরো টাকাই বিনিয়োগ করেন দলজিৎ। যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এরপর অনিতার পরামর্শে আরও ২ কোটি টাকা ঋণ নেন। সবমিলিয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি ট্রান্সফার করেন।

এরপর আগের মতো যখন দলজিৎ টাকা তোলার চেষ্টা করেন, তখন তাঁকে বলা হয়, বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ ট্রান্সফার করতে। তা অস্বীকার করেন দলজিৎ। তখন ওই সংস্থা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অনিতা যে তিনটি ওয়েবসাইটের কথা বলেছিলেন, তার দুটি বন্ধ ছিল।

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন দলজিৎ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ডেটিং অ্যাপ প্রোফাইলটি ভুয়ো। যেসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দলজিৎ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন, সেগুলির তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।