AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TV9 Explained: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন প্যানেল তৈরি করতে হল সুপ্রিম কোর্টেকে? কী ছিল পুরনো নিয়ম?

TV9 Explain: শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নয়, আরও দুই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের নিয়মে নিয়েও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

TV9 Explained: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন প্যানেল তৈরি করতে হল সুপ্রিম কোর্টেকে? কী ছিল পুরনো নিয়ম?
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 3:33 PM
Share

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম নির্দেশে বদলে গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) নিয়োগের নিয়ম। এবার থেকে আর স্বাধীনভাবে ওই পদে নিয়োগ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নয়, আরও দুই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের নিয়মে নিয়েও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এবার থেকে নির্বাচন কমিশনের ওই উচ্চ পদগুলিতে নিয়োগের সুপারিশ করবে একটি প্যানেল। সেই প্যানেলে থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এতদিন ধরে যে নিয়মে এই নিয়োগ হত, তা স্বচ্ছ ছিল না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। সংস্কারের কথাও বলেছিলেন কেউ কেউ। তবে নিয়ম বদলায়নি। এবার কমিশনে আরও বেশি স্বচ্ছতা আসবে বলেই উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই-এর ডিরেক্টর নিয়োগের সঙ্গে মিল রয়েছে এই নতুন নিয়মের।

কী ছিল পুরনো নিয়ম?

এতদিন পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে কাকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করত কেন্দ্রীয় সরকার। নাম নির্ধারিত হওয়ার পর নিয়োগ করতেন রাষ্ট্রপতি। আলাদা কোনও প্যানেল বা কমিটি ছিল না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের পদের মেয়াদ থাকে ৬ বছর বা বয়স ৬৫ হওয়া পর্যন্ত (যেটা আগে হবে)।

এই পদাধিকারীরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমতুল্য বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পান।

কীভাবে পদ থেকে সরানো যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে?

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরানোর পদ্ধতি বেশ জটিল। শৃঙ্খলাভঙ্গ করা বা কোনও অনুচিত কাজ করার অভিযোগ উঠলে লোকসভা ও রাজ্যসভার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যকে হাজির হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে। তবেই তাঁকে সরানো সম্ভব।

সংস্কারের দাবি উঠেছিল আগেও

দেশের প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি একসময় এই পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন।

২০১২ সালে তাঁর দাবি ছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও ক্যাগের অডিটরের নিয়োগ পদ্ধতি বদলানো হোক। তিনি চেয়েছিলেন, ওই নিয়োগ হোক একটি কমিটির সুপারিশে, যাতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, দেশের আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

সেই দাবিকে সমর্থন করেছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি। স্বচ্ছতা বা নিরপেক্ষতা নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেই কারণেই এমন দাবি জানিয়েছিলেন আদবানি। একাধিক প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও জানিয়েছিলেন এমন দাবি। বি ট্যান্ডন, এন গোপালস্বামী, এস ওয়াই কুরেশিও এই দাবি জানিয়েছিলেন।