নয়া দিল্লি: একই মাসে জোড়া এফআইআর টুইটারের (Twitter) ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে। আগে এফআইআর হয়েছিল গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনায়। এ বার মানচিত্র বিতর্কেও বজরং দলের নেতার এফআইআরে নাম জড়াল তাঁর। জানা গিয়েছে, টুইটারের ভারতীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ৫০৫(২) ও আইটি আইন,২০০৮-এর ৭৪ নং ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবারই টুইটারের ‘টুইপ লাইফ’ ওয়েবসাইটে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ম্যাপের বাইরে দেখানো হয়। সূত্রের খবর, তারপর কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র।
এরপর সেই ম্যাপ তড়িঘড়ি মুছে ফেলে টুইটার। কিন্তু মানচিত্র বিতর্কে উত্তর প্রদেশে টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। লাগাতার টুইটারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে এই বিতর্ক ও এফআইআর অন্য মাত্রা যোগ করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত শুরু কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ থেকে। কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন অনুযায়ী, ভারতে টুইটারের রেসিডেন্স, গ্রিভেন্স ও কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের হাতে এসে পৌঁছয়নি তাঁদের তথ্য। এরপরই টুইটারের কাছে থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র।
অন্যদিকে গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের ঘটনায়ও কেন্দ্রের নিশানায় টুইটার। কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে ঘি ফেলে গাজিয়াবাদের ঘটনা। সেখানে মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনাতেও পুলিশি জটিলতায় পড়েছে টুইটার। অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিতর্কিত ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় ভারতে টুইটারের অধকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। লোনি থানায় হাজিরার জন্য তাঁকে এবং ধর্মেন্দ্র চতুরকে তলব করে পুলিশ। পাল্টা কর্নাটক হাইকোর্টে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন মহেশ্বরী। সেখানে অবশ্য হাইকোর্ট জানিয়েছে, রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র ‘সুর চড়াতেই’ ভারতের ভুল ম্যাপ মুছে ফেলল টুইটার