কেন্দ্র ‘সুর চড়াতেই’ ভারতের ভুল ম্যাপ মুছে ফেলল টুইটার

Govt Vs Twitter: মাইক্রোব্লগিং সংস্থার ‘কেরিয়ার’ বিভাগ টুইপ লাইফে কোনও টুইটার ব্যবহারকারী ওই বিকৃত মানচিত্র আলপোড করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্র 'সুর চড়াতেই' ভারতের ভুল ম্যাপ মুছে ফেলল টুইটার
টুইটারে আপলোড হওয়া ভুল মানচিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2021 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: টুইটারের (Twitter) সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাতে কার্যত অনুঘটকের কাজ করল ‘মানচিত্র বিতর্ক।’ সেখানে ভারতের ভুল মানচিত্র আপলোড করে সংঘাত আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেলেছিল জ্যাক ডোরসের সংস্থা। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তড়িঘড়ি সেই ম্যাপ মুছে ফেলেছে টুইটার। তবে তার আগে সুর চড়িয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, কেন্দ্র বড় কোনও পদক্ষেপ করতে চলেছে টুইটারের বিরুদ্ধে।

মাইক্রোব্লগিং সংস্থার ‘কেরিয়ার’ বিভাগ টুইপ লাইফে কোনও টুইটার ব্যবহারকারী ওই বিকৃত মানচিত্র আলপোড করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারত থেকে বিছিন্ন অবস্থায় দেখানো হয়েছে। মানচিত্র প্রকাশ্যে আসতে ভারতীয়রা অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যদিও মানচিত্র নিয়ে টুইটারের সঙ্গে ভারতের সমস্যা নতুন নয়। এর আগে একটি মানচিত্রে লে ও কাশ্মীরের অবস্থান দেখানো হয়েছিল চিনে। সেখানেও অভিযুক্ত ছিল টুইটার। সেই সময় টুইটারের সিইও-কে চিঠি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মানচিত্রের বিকৃতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছিল ভারত।

মূলত কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত টুইটারের। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা মেনে নিলেও কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন মানতে অরাজি ছিল টুইটার। তাই সংঘাত আরও বাড়ে। পরবর্তীকালে কেন্দ্রের ‘শেষ নোটিসে’ নয়া ডিজিটাল আইন মানতে রাজি হয় জ্যাক ডোরসের সংস্থা। কিন্তু তারপরেও গ্রিভেন্স অফিসারের তথ্য এসে পৌঁছয়নি কেন্দ্রে হাতে। ফলে টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র।

এরপর টুইটার ধর্মেন্দ্র চতুর নামে এক আইন বিশেষজ্ঞকে গ্রিভেন্স অফিসার পদে নিয়োগ করে। কিন্তু কেন্দ্র জানায়, এই পদে বাইরের কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। তাই পদত্যাগ করতে হয় ধর্মেন্দ্র চতুরকে। তাঁর জায়গায় টুইটার মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেসেলকে নিয়োগ করে। সেখানেও নিয়ম ভঙ্গ হয়। কারণ কেন্দ্রের নিয়মে সাফ জানানো ছিল, কোনও ভারতীয় ব্যক্তিই এই পদে বসতে পারবেন। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগেই কপিরাইট এর নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে খোদ তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় টুইটার। এ ছাড়াও গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহ ঘটনায় টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত অব্যাহত।

আরও পড়ুন: উলট পুরাণ! ‘ভ্যাকসিন পেল’ ১৩ বছরের নাবালক