AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Work Culture: একদিনও ছুটি নিয়ে রোজ ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ, তবেই চিন-আমেরিকাকে টপকাবে ভারত! কে দিলেন এমন পরামর্শ?

Work Culture: যদিও ৯০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিতে গিয়ে ভারতের থেকে এগিয়ে থাকা দেশগুলির প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কর্মপদ্ধতিতে বদল না আনলে কোনও দেশেরই সামগ্রিক শ্রীবৃদ্ধি সম্ভব নয়। আর আমাদের দেশের লোকজন যদি এই কায়দায় রপ্ত হতে না পারেন তাহলে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় তাঁরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়বেন।

Work Culture: একদিনও ছুটি নিয়ে রোজ ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ, তবেই চিন-আমেরিকাকে টপকাবে ভারত! কে দিলেন এমন পরামর্শ?
প্রতীকী ছবিImage Credit: Facebook
| Updated on: Jan 11, 2025 | 6:12 AM
Share

কলকাতা: হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছে উন্নত দেশগুলি। কিন্তু, ভারতের অর্থনীতির রথের চাকা থামছে না কিছুই। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা, মনে করছেন এই গতি বজায় থাকলে কিছু বছরের মধ্যেই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের তালিকায় একেবারে প্রথম তিনে চলে আসবে ভারত। কিন্তু, তাই বলে সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজ? হ্যাঁ এমনই পরামর্শ দিয়েছেন লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এলএন্ডটি) চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর এই ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরেই এখন জোর শোরগোল দেশজুড়ে। 

যদিও ৯০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিতে গিয়ে ভারতের থেকে এগিয়ে থাকা দেশগুলির প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কর্মপদ্ধতিতে বদল না আনলে কোনও দেশেরই সামগ্রিক শ্রীবৃদ্ধি সম্ভব নয়। আর আমাদের দেশের লোকজন যদি এই কায়দায় রপ্ত হতে না পারেন তাহলে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় তাঁরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়বে। চিনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলছেন, চিনের কর্ম নীতিই তাঁদের আরও সক্ষম করে তুলেছে। ওই রাস্তায় হেঁটেই তারা আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে। 

এমনকী এ কথা বলতে গিয়ে বাড়িতে সময় কাটানো, বাড়ির সদস্যদের সময় দেওয়াকেও খানিক খোঁচা দিয়েছেন তিনি। কাজ না করে বাড়িতে থাকার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, আপনি বাড়িতে থেকে কী করতে পারেন?কতক্ষণই বা স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকা যায়? তাঁর এই বক্তব্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে বিতর্কের ঝড়। 

এর আগে, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তিও সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দেশের উন্নয়নের জন্য এটার প্রয়োজন বলে দাবি করেছিলেন। যদিও নতুন বিতর্কের আবহে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। খানিক কটাক্ষের সুরেই বলেন, কর্মজীবনের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য যে কোনও মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তিনি বলেন, “যদি কেউ পরিবারের সাথে ৮ ঘন্টা সময় কাটায় এবং খুশি থাকে, তাহলে সেটাই তার পছন্দ। এতে তো অসুবিধা নেই।”