Tripura: ত্রিপুরায় ১০ জন মিলে ‘গণধর্ষণ’ করল দুই আদিবাসী নাবালিকাকে!
ত্রিপুরার ধালাই জেলায় এবং গোমতী জেলার বাসিন্দা দুই আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর ঘটনার অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ওই কিশোরীদের।
আগরতলা: একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল ত্রিপুরা। আগরতলায় দিন কয়েক আগেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। গাড়িতে তুলে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার দিন দুয়েক পর দুই আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ত্রিপুরার ধালাই জেলায় এবং গোমতী জেলার বাসিন্দা দুই আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর ঘটনার অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ওই কিশোরীদের। তাঁরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। মেলা উপলক্ষ্যে সেখানে এসেছিলেন তারা। মেলা দেখতে গিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতাদের দেখা হয়েছিল। তার পরই ঘটে অত্যাচারের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ওই দুই আদিবাসী কিশোরী মেলা দেখতে এসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে এসে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। অভিযুক্তদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল নির্যাতিতাদের। মেলায় দেখা হওয়ার পর অভিযুক্তরা নাবালিকাদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রলোভিত করে। এর পর অভিযুক্তরা বাইকে করে নিয়ে যান দুই কিশোরীকে। জঙ্গলের মধ্যে একটি রবার তৈরি কারখানার কাছে নাবালিকাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ১০ জন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাদের বয়স ১৬ ও ১৭ বছর। গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা নির্যাতিতাদের ফের মেলা প্রাঙ্গনে নামিয়ে দিয়ে যান।
পরের দিন বীরগঞ্জ থানায় যায় দুই নাবালিকা। সেখানে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তারা। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের থেকে বাকিদের নামও পেয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।