Malik On PM Modi: ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের অফার পেয়ে সটান মোদীকে ফোন রাজ্যপালের, তারপর…
PM Narendra Modi: কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে গতমাসেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল কাশ্মীর প্রশাসন।
নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satyapal Malik)। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। এবার মোদীকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে বারবার সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি যে কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে আপস করতে রাজি নন তা জানিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’ এবার দুর্নাীতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন বেআইনিভাবে দুটি ফাইল পাশ করার বিনিময়ে তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেই কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। “প্রধানমন্ত্রী আমাকে সমর্থন করে জানিয়েছিলেন দুর্নীতির সঙ্গে কখনই আপস করা উচিৎ নয়।”
কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে গতমাসেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল কাশ্মীর প্রশাসন। রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক অনুষ্ঠানে অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ মালিক বলেছিলেন, “আমার কাছে দুটি ফাইল নিয়ে আসা হয়েছিল। একজন সচিব আমাকে বলেছিলেন, আমি অনুমোদন দিলে ফাইল পিছু আমাকে ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আমি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে জানিয়েছিলাম আমি পাঁচটি কুর্তা ও পাজামা নিয়ে কাশ্মীরে এসেছি এবং আমি এই গুলি নিয়েই কাশ্মীর থেকে ফিরে যেতে চাই।” মালিকের দাবি, মোদী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই তাঁকে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের একজন আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত এবং অপরজন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী।
আজ মালিক জানিয়েছেন, তাঁকে সরাসরি ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া না হলেও এই ঘটনার পিছনে কারা যুক্ত ছিল তা তিনি জানেন। এমনকী এই কাজের সঙ্গে অন্য কে কে যুক্ত, সেই বিষয়েও তিনি অবহিত। তদন্ত চলাকালীন তাদের নাম ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “আমি দুটি প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত চলছে না।” সত্যপালের অভিযোগ, গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত, আসলে এই ঘটনার সঙ্গে তিনি আদৌ জড়িত নন।