
নয়া দিল্লি: প্রত্যাঘ্যাতের বার্তা এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফেও। রণহুঙ্কার দিচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানকে চাপে রেখে একেবারে ল্যাজেগোবরে করে দিয়েছে ভারত। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াঘা বর্ডার। পাশাপাশি পাকিস্তানিদের সমস্ত ভিসা দেওয়াও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকছে। ভারতে থাকা পাকিস্তানিদেরও দ্রুত দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে এরমধ্যে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করে আপাতত স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চর্চার অন্ত নেই। রেগে লাল ভারত। জল না পেলে, সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্ত বইবে, হুঙ্কার দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তবে সে সবে যে ভারত খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ তা স্যাটেলাইট ইমেজেই স্পষ্ট।
স্যাটেলাইট ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সিন্ধু জল চুক্তির স্থগিত নির্দেশ সুস্পষ্টভাবেই কার্যকর হচ্ছে। শিয়ালকোটের কাছে চেনাব নদীর দুই দৃশ্য। ২৬ তারিখে যেখানে জলের প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। সেখানেই ২৯ তারিখে একরকম জলশুন্য চেনাব। স্যাটেলাইট ইমেজে স্পষ্ট সেই ছবি। এই ছবি পাকিস্তানের স্নায়ুর চাপ আরও অনেকটা বাড়াবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
দফায় দফায় বৈঠক চলছে নয়া দিল্লিতে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করেছিলেন মোদী। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের সব হেভিওয়েটরা। অন্যদিকে বুধবারও নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক করেন মোদী। অন্যদিকে প্রত্যাঘাতের ভয়ে যে পাকিস্তানের হাঁটু কাঁপঠে তা পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার কথাতেই স্পষ্ট। পাক সংবাদসংস্থা ‘ডন’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলছেন, ‘গোপন সূত্রে আমরা খবর পেয়েছি ভারত সম্ভবত ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা অ্যাকশনে নামতে পারে।’