Physical Assault: ‘ও তো আমার মেয়ে হতে পারত…’ নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের দাবি করলেন অভিযুক্তের বাবা
Ujjain: নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা বলেন, "নির্যাতিতার জায়গায় যদি আমার সন্তান থাকত, তবে আমি একই দাবি করতাম। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। যারা এই ধরনের অপরাধ করে, তাদের গুলি করা বা ফাঁসি দেওয়া উচিত।"

উজ্জয়িনী: গায়ের পোশাক ছেঁড়া, গোপনাঙ্গ থেকে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত। ওই অবস্থাতেই সাহায্যের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরেছিল ১২ বছরের কিশোরী। কিন্তু ধর্ষিতাকে সাহায্য করা তো দূর, অধিকাংশই দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িনীর এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। প্রশ্ন উঠেছে মানবিকতা নিয়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক অটোচালককে। এবার মুখ খুললেন অভিযুক্তের বাবা। না, নিজের ছেলেকে নিরাপরাধ বলে দাবি করলেন না, বরং এহেন ঘৃণ্য অপরাধের জন্য ছেলের কঠোরতম শাস্তির দাবি করলেন তিনি।
শুক্রবার উজ্জয়িনীর নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা বলেন, “নির্যাতিতার জায়গায় যদি আমার সন্তান থাকত, তবে আমি একই দাবি করতাম। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আমার সন্তান হোক বা অন্য কারোর, যারা এই ধরনের অপরাধ করে, তাদের গুলি করা বা ফাঁসি দেওয়া উচিত।”
তিনি জানান, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পরই ছেলের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। অপরাধ স্বীকার করলেও, নিরুত্তাপ ছিল অভিযুক্ত। ওই ব্যক্তিকে ছেলেকে আত্মসমর্পণও করতে বলেন, কিন্তু তাঁর কথায় আমল করেনি। চুপচাপ সে নিত্যদিনের কাজই করছিল পুলিশের গ্রেফতারির আগে অবধি।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, “ও আমার সন্তান, আমি সবসময় পাশে থাকব। কিন্তু কার মাথায় কী চলছে, তা তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তবে ওকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। পুলিশের উচিত ছিল ওঁকে গুলি করা। আমরা লজ্জায় বের হতে পারছি না। ওই মেয়েটি তো আমার মেয়ে হতে পারত…যদি আমি ছেলের জায়গায় থাকতাম, তবে অপরাধ স্বীকার করে নিতাম ও মাথা পেতে শাস্তি গ্রহণ করতাম।”
প্রসঙ্গত, বুধবারই ধর্ষণের ঘটনাটি সামনে আসে। ১২ বছরের ওই কিশোরীকে অটোর মধ্যে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরী সাহায্যের আশায় ৮ কিলোমিটার হেঁটেছিল। পরে এক পুজারী তাঁকে আশ্রয় দেয় এবং পুলিশে খবর দেন।
