Nirmala Sitharaman on Financial Influencers: আর্থিক বিনিয়োগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরামর্শ নেন? কী বার্তা দিলেন নির্মলা
Nirmala Sitharaman on Financial Influencers: আর্থিক বিনিয়োগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের পরামর্শ নিলে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
নয়া দিল্লি: দিনে দিনে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা। অতীতে বিনোদন, মনোরঞ্জন বা কেবল সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবেই সীমাবদ্ধ ছিল এর কার্যকারিতা। তবে যতদিন গিয়েছে সেই ধারণা বদলেছে। সময় কাটানোর মাধ্যমের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতার ব্যপ্তি বিশ্বের সামনে মেলে ধরেছে সোশ্য়াল মিডিয়াগুলি। আগে যা কেবলমাত্র বিনোদনের জন্যই ব্যবহৃত, এখন সেই ছক ভেঙে প্রফেশনাল দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে অনেকের উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই মাধ্যমগুলি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। আবার অনেকে আর্থিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁরা ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সার নামেই পরিচিত। আর এবার তাঁদের জন্য রয়েছে স্বস্তি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আর্থিক ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণ করার কোনও চিন্তাভাবনা নেই এই মুহূর্তে। ফলে কিছুটা ছাড় মিলল তাঁদের। তবে তাঁদের পরামর্শ মেনে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
একটি সাংবাদিক বৈঠক তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ন্ত্রণের কোনও প্রস্তাব আনা হয়নি। তবে তিনি আর্থিক পরামর্শ নেওয়ার সময় সতর্ক হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ফিন্য়ান্সিয়্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের থেকে বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ নেওয়ার বিষয়ের বিরোধিতা করেননি তিনি। তবে তিনি বলেছেন, এই ইনফ্লুয়েন্সারদের থেকে পরামর্শ মেনে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই কোনও ব্যক্তির সতর্ক থাকা উচিত। কারণ অনেক সময়ই ইনফ্লুয়েন্সাররা বাহ্যিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাবিত হতে পারেন। আর তাঁদের পরামর্শে সেই প্রতিফলন থেকে যায়। তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বারবার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গবেষণা ও কাউন্টার চেকিংয়ের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পরামর্শ দেওয়ার জন্য সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার ও ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সার সবাই আছেনই। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটি দৃঢ় সতর্কতা প্রয়োজন যাতে আমরা ডাবল চেকিং করি, কাউন্টার চেকিং করি এবং এইভাবে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা লুঠ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারি।” এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সরকার প্রতারণামূলক আর্থিক অ্যাপ্লিকেশনগুলি দমন করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে পঞ্জি স্কিমের সঙ্গে জড়িত অ্য়াপগুলিও অন্তর্ভুক্ত। এই উদ্বেগগুলি সমাধানের জন্য মন্ত্রক ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেছেন, “যদি ৩-৪ জন লোক আমাদের বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ দেয়। তবে ১০ জনের মধ্যে আরও ৭ জন আছেন যাঁরা সম্ভবত অন্য কোনও বিষয় দ্বারা প্রভাবিত। এমন অনেক পঞ্জি অ্যাপ রয়েছে যেখানে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও আরবিআইয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি যা আগে কখনও হয়নি।”