নয়া দিল্লি: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছে কেন্দ্র। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া গণটিকাকরণ কর্মসূচি জুলাইতে ছয় মাস পূরণ করেছে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়েই ৫১.৬ কোটি টিকা সরবরাহের কথা ছিল কেন্দ্রের, তা পূর্ণ হল না একটুর জন্য। ৯৪ শতাংশ ভ্যাকসিনই সরবরাহ করা হলেও ২.৮২ কোটি ডোজ়ের ঘাটতি রয়েছে গিয়েছে এখনও।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, জুলাই মাসের মধ্যেই ৫১ কোটিরও বেশি টিকা সরবরাহ করা হবে। কিন্তু শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এখনও অবধি ৪৮.৭৮ কোটি টিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ৬৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৭০ ভ্যাকসিনের ডোজ় পাঠানো হচ্ছে। জুলাই মাসের মধ্যে যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল, তাতে ২.৮২ কোটি ডোজ়ের ঘাটতি রয়েছে। সরবরাহ করা টিকার মধ্যে মোট ৪৫ কোটি ৮২ লক্ষ ৬০ হাজার ৫২টি টিকার ডোজ় ব্যবহার হয়েছে। এরমধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া টিকার হিসাবও রয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, টিকা ঘাটতির মাঝেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ শতাংশই পূরণ করা সম্ভব হয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউটের সরবরাহ করা কোভিশিল্ডের মাধ্যমে। জুলাই মাসের মধ্যে সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে ৩৮.৬ কোটি কোভিশিল্ড টিকা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ৩৯.১১ কোটি টিকা সরবরাহ করেছে সেরাম।
অন্যদিকে, টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ভারত বায়োটেক। জুলাই মাস অবধি ১১ কোটি কোভ্যাক্সিন সরবরাহের কথা থাকলেও মাত্র ৫.৭৯ কোটি ভ্য়াকসিনই পাঠাতে পেরেছে ভারত বায়োটেক।
ভারতে বর্তমানে আরও দুটি টিকা-রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও মডার্না অনুমোদন পেলেও মডার্নার টিকা এখনও অবধি প্রয়োগ শুরু হয়নি। আপাতত কোভিশিল্ডের উপর ভরসা করেই দেশের টি্কাকরণ চলছে। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়লে বা আইন ভাঙলেই মিলবে না সরকারি চাকরি, বৈধ হবে না পাসপোর্টও!