নয়া দিল্লি: উত্তপ্ত কাশ্মীর। দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। রক্ত ঝরছে নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের। হঠাৎ জঙ্গি গতিবিধি বাড়তেই উপত্যকা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
বিগত এক সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি থেকে শুরু করে কাঠুয়া, ডোডা জেলায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। রিয়াসির হামলায় ৯ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। কাঠুয়া ও ডোডার হামলাতে ১ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয় এবং জখম হন ৭ জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী। নিকেশ করা হয়েছে ২ সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গিকে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র।
একের পর এক এই হামলা নিয়েই উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে, লেফটেন্যন্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন দেকা প্রমুখ।
বৈঠকে শাহ জম্মু-কাশ্মীরে কড়া হাতে সন্ত্রাস দমনের নির্দেশ দেন। অমরনাথ যাত্রায় যাতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। পাশাপাশি জম্মুতে যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন জানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেন শাহ।
কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে নিরাপত্তা বাহিনী যে পরিকল্পনা অনুসরণ করা হয়েছিল, জম্মুতেও সন্ত্রাস দমনে সেই ‘জিরো টেরর প্ল্যান’ অনুসরণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হাইওয়েগুলির পাশে আরও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে বলেন শাহ। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস গতিবিধি ও তাদের সমর্থক কারা, সেই তথ্য জানতে গোয়েন্দা বাহিনীর উপরই আস্থা রেখেছেন তিনি।