Parliament: সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ অমিত শাহের, বিল ছিঁড়ে ছুড়ে মারলেন কল্যাণ সহ বিরোধী সাংসদরা

Amit Shah: ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে, এই বিলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। লোকসভায় বিল পেশ হতেই বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে। এমনকী অমিত শাহের দিকে বিলের কাগজও ছোঁড়ে বিরোধীরা। 

Parliament: সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ অমিত শাহের, বিল ছিঁড়ে ছুড়ে মারলেন কল্যাণ সহ বিরোধী সাংসদরা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।Image Credit source: X

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 20, 2025 | 3:18 PM

নয়া দিল্লি: উত্তাল লোকসভা। ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে, এই বিলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র এটা, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের। এই বিল অসংবিধানিক বলেই দাবি বিরোধীদের। লোকসভায় বিল পেশ হতেই বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে। এমনকী অমিত শাহের দিকে বিলের কাগজও ছোড়ে বিরোধীরা। দুপুর তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।

এ দিন কেন্দ্রের তরফে নতুন তিনটি বিল পেশ করা হয়। তিনটি বিল হল ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনিক সংশোধনী বিল, ও জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল, ২০২৫। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল হল ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল, যেখানে বলা হয়েছে, গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী যদি আটক বা গ্রেফতার হন এবং টানা ৩০ দিন জেলবন্দি থাকেন, তবে ৩১ তম দিনে তাঁর মন্ত্রিত্ব পদ যাবে।  

বুধবার, ২০ অগস্ট লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিল পেশ করেন। বিরোধীদের হই-হট্টগোলে অমিত শাহ আশ্বাস দিয়ে বলেন যে এই বিল যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে, যেখানে বিরোধীরাও নিজেদের বক্তব্য, পরামর্শ দিতে পারবেন। বিরোধীদের কড়া জবাব দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এতটাও নির্লজ্জ হতে পারে না যে গুরুতর অপরাধমূলক অভিযোগ থাকার পরও সাংবিধানিক পদ দখল করে থাকব।

এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “বিজেপি সরকার গোটা দেশকে পুলিশ রাজ্য বানাতে চাইছে। এই বিল সংবিধান বিরোধী। কে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করবে? বিজেপি এই ধরনের বিলের মাধ্যমে গোটা দেশকে পুলিশ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বিজেপি ভুলে যাচ্ছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।”

কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা বলেন, “এটা দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ বলে জনতার চোখে পর্দা দিচ্ছে। আগামিকাল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেকোনও মামলা দিয়ে তাঁকে ৩০ দিনের জন্য গ্রেফতার করে রাখেন, তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও দুঃখজনক।”

এ দিন অমিত শাহ বিল পেশ করতেই বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিরোধী সাংসদরা বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন এবং তা অমিত শাহের দিকে ছুড়ে মারেন।

অন্যদিকে, অমিত শাহের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালেরও তীব্র বচসা হয়। কংগ্রেস সাংসদ সোহরাবুদ্দিন শেখ ফেক এনকাউন্টার কেসে বিজেপি নেতার গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে আনেন। অমিত শাহের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টানলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দেন, “গ্রেফতার হয়ে ইস্তফা দিয়েছিলাম।”