নয়া দিল্লি: অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond) তথ্য। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্বাচনী বন্ড বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ার পরই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(State Bank of India)-কে বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বলেছিল। টালবাহানার পর সেই তথ্য প্রকাশও করেছে এসবিআই। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বন্ডের যাবতীয় তথ্য রয়েছে। বিরোধীদের দাবি ছিল, নির্বাচনী বন্ড থেকে সবথেকে বেশি লাভ হয়েছে বিজেপির (BJP)। বিরোধীদের সমালোচনার সোজা-সাপটা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বন্ডের তথ্য তুলে ধরে দেখালেন যে কোন দল কতটা লাভবান হয়েছে?
শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে-র কনক্লেভে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছিল ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো টাকা দূর করতে। সুুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও, তাঁর মতে বন্ড সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করে, তা সংশোধন বা পরিবর্তন করা যেত।
বিজেপি নিজের আখের গোছাতে নির্বাচনী বন্ড এনেছিল, বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “অনেকের ধারণা, বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে বলে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিই, নির্বাচনী বন্ডে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এরমধ্যে বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। বাকি বন্ড কোথায় গেল? তৃণমূল ১৬০০ কোটি টাকা পেয়েছে, কংগ্রেস ১৪০০ কোটি টাকা পেয়েছে, বিআরএস ১২০০ কোটি টাকা পেয়েছে। বিজেডি ৭৫০ কোটি টাকা, ডিএমকে ৬৩৯ কোটি টাকা পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ৩০৩ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ৬ হাজার কোটি টাকা পেয়েছি। বিরোধীদের ২৪২ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও তারা ১৪ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। তাহলে এত চিৎকার-চেঁচামেচি-কান্নাকাটির কী রয়েছে? এরা আপনাদের মুখও দেখাতে পারবে না এরপর।”
নির্বাচনী বন্ড আনার আগে কীভাবে রাজনীতিতে নগদ অর্থ নিত বিরোধী দলগুলি, তা-ও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১১০০ টাকা যদি বিরোধীরা অনুদান পেত, তবে দলের নামে ১০০ টাকা রেখে, বাকি ১০০০ টাকা বিরোধী নেতারা নিজেদের পকেটে ঢোকাত বলেই অভিযোগ করেন তিনি।