পানাজি: গোয়ায় মমতার রাজনৈতিক পথ যে খুব একটা মসৃণ হবে না, তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোয়ার উন্নয়নের জন্য এবং গোয়ার মৎসজীবীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ আশ্বাস দিয়েছেন। আর এবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর গলাতেও গোয়ার উন্নয়নের কথা। আইফেল টাওয়ারের থেকেও ভাল পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে গোয়া। জানালেন নীতিন গডকরি।
গোয়ার জুয়ারি নদীর উপর প্রস্তাবিত সেতুর উপর পর্যটকদের জন্য একটি গ্যালারি বা ভিউ পয়েন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর এই গোয়া প্রজেক্ট একবার তৈরি হয়ে গেলে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে গোয়া।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেতুটি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। পানাজি – মারগাঁও সংযোগকারী রাস্তার উপর যে সেতুটি রয়েছে, নতুনটি তার সমান্তরালে তৈরি হবে। আজ নীতিন গডকরি জানিয়েছেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই অন্তত একটি লেন যাতে খুলে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, জুয়ারি সেতুর কাজ চলছে। এই সেতুর সঙ্গে দুটি টাওয়ার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই টাওয়ার দুটিকে কাজে লাগিয়েই একটি ভিউয়িং গ্যালারি তৈরি করা হবে। আইফেল টাওয়ারের থেকেও ভাল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে এটি। এখানে রেস্তরাঁ, আর্ট গ্যালারির পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের জন্য নিজেদের শিল্প কলা বিক্রির করার জায়গা থাকবে।
উল্লেখ্য, গতমাসেই আত্মনির্ভর ভারত স্বয়ংপূর্ণ গোয়া নামে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকার গোয়ায় উন্নয়নের যে দিশা দেখিয়ে গিয়েছেন, সেই কথাও আজ উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, “আগামী ২৫ বছরের জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তারই প্রথম ধাপ হল স্বয়ংপূর্ণ গোয়া। এর জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এই উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার জন্য গোয়ায় আবার ডবল ইঞ্জিন সরকার দরকার। বর্তমান সরকার যেমন স্বচ্ছ নীতি নিয়ে চলছে, তেমন স্বচ্ছ নীতি দরকার। বর্তমান সরকার যেমন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তেমনই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সরকার দরকার। সমস্ত গোয়াবাসীর আশীর্বাদ নিয়েই আমরা স্বয়ংপূর্ণ গোয়া গঠনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।” একইসঙ্গে গোয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ নমো।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, গোয়া এখন এক নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। গোয়ায় এখন ডবল ইঞ্জিন সরকার নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এটাই স্বয়ংপূর্ণ গোয়ার অঙ্গীকার।
উল্লেখ্য সৈকত শহরের একটি বড় অংশের সাধারণ নাগরিক মাছের ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোয়ার জন্য যে উন্নয়নমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে কৃষক, পোলট্রি ফার্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং মৎসজীবীরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন : Goa Polls: মমতা, রাহুলের পর এবার গোয়া সফরে অরবিন্দ কেজরীবাল