Uttar Pradesh: চিকিৎসক নয়, সার্জারি করলেন ওষুধের দোকানের মালিক; তারপরই মৃত্যু রোগীর
Surgery by Medical Shop Owners: কীভাবে ওই রোগীর মৃত্যু হল, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
উত্তর প্রদেশ: ভাবুন কাণ্ড! ছোটখাটো কোনও চিকিৎসা নয়, একেবারে রোগীর সার্জারিই করে বসেছেন এক ওষুধের দোকানের মালিক। অতঃপর যা হওয়ার তাই হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) খেজুরি এলাকায় বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর ওই ওষুধের দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান মৃতের ছেলে। এফআইআর দায়ের করা হয় থানায়। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই ওষুধের দোকানের মালিককে আটক করেছে খেজুরি থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মৃত ওই রোগীর নাম মুন্না গুপ্তা। আর যে ওষুধের দোকানের মালিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল, তার নাম জানা যাচ্ছে এ মালিক। অভিযুক্ত ওই ওষুধের দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। মুন্না গুপ্তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে ওই রোগীর মৃত্যু হল, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
উত্তর প্রদেশের খেজুরি থানার স্টেশন হেড বিনদেশ্বরী পাণ্ডে জানাচ্ছেন, খেজুরিতে এ রহমানের একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেই ওষুধের দোকানেই মুন্না গুপ্তা নামে ওই রোগী গিয়েছিলেন। মুন্না গুপ্তা হাইড্রোসিল রোগে ভুগছিলেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় ওই ওষুধের দোকানের মালিক সেখানেই রোগীর সার্জারি করেন এবং তারপর সন্ধেয় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে এ রহমান নামে ওই ওষুধের দোকানের মালিককে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খেজুর থানার স্টেশন হেড।
উত্তর প্রদেশে বুধবারের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে জেনে, হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ না দিয়ে ওই ওষুধের দোকানের মালিক নিজেই সার্জারি করতে গেলেন? ওই ওষুধের দোকানের মালিকের কি এই ধরনের কোনও মেডিকেলের ডিগ্রি রয়েছে? যদি সময়মতো রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো যেত, তাহলে হয়ত তাঁকে প্রাণে বাঁচানো যেত। মত ওয়াকিবহাল মহলের।