লখনউ: ভোটের এখনও মাস ছয়েক বাকি। কিন্তু উত্তর প্রদেশের রাজনীতির বাতাবরণ এখন থেকেই গরম হতে শুরু করে দিয়েছে। চলছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। আজ তাতে নতুন সংযোজন অখিলেশ যাদবকে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লার তোপ। শুক্লার আক্রমণ, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের পৃষ্ঠপোষকতা করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তিনি মুসলিমদের খুশি করার জন্য ধর্মও পাল্টে ফেলতে পারেন।
উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি (অখিলেশ যাদব) হয়ত আইএসআইয়ের থেকে আর্থিক সাহায্যও পান। শুক্লার কথায়, “ইসলামিক দেশগুলির থেকে সাহায্য পাচ্ছেন অখিলেশ যাদব। আইএসআই তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাঁকে নিজেদের আঙুলে নাচাচ্ছে আইএসআই। হয়ত আর্থিক সাহায্যও পাচ্ছেন অখিলেশ।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরদয়ে এক রাজনৈতিক সভায় সপা প্রধানের এক মন্তব্য চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ফেলেছিলেন মহম্মদ আলি জিন্নাকে। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভারতের স্বাধীনতার জন্য চারজনই সমান ভাবে লড়েছিলেন।
আর এই নিয়েই এবার উত্তর প্রদেশের মন্ত্রীর কড়া আক্রমণের মুখে অখিলেশ যাদব। বলেন, “মুসলিমদের তোষণ করতে, নমাজ পড়েছেন অখিলেশ যাদব। রোজা পালন করেছেন। ভোট পেতে প্রয়োজনে তিনি ধর্মও বদলে ফেলতে পারেন।
উল্লেখ্য, সেদিনের বক্তৃতায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলে ভূমিকা নিয়ে ভূয়সি প্রশংসা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যাটা হয় তারপরে, মহম্মদ আলি জিন্নাকেও একই আসনে বসিয়ে ফেলেন তিনি। আর তাঁর এ হেন কাজে বেশ চটে রয়েছেন নেটিজেনদের একটি বড় অংশ।
এই সুযোগে তাঁকে আক্রমণ শানাতে ছাড়ছে না বিজেপিও। শুক্লা এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, “আইএসআইয়ের নির্দেশেই জিন্নাকে ‘মহান’ করে তুলছেন অখিলেশ যাদব। তিনি এমন কিছু বক্তব্য রাখছেন, যেগুলি পাকিস্তান এবং তালিবান শুনতে চাইছে।”
এদিকে কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে, দেশ শক্তিশালী হয়েছে। কোনও দেশ ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করতে পারে না। তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলেছে। তবে তালিবানরা জানে, যদি তারা আমাদের দেশের দিকে অগ্রসর হয়, তবে বিমান হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারত।”
কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টিকেও আক্রমণ করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর অভিযোগ এই তিনটি দল দীর্ঘদিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও রাজ্যের উন্নয়নরে জন্য কোনও কাজই করেনি। সমাজবাদী পার্টির নাম না করে আদিত্যনাথ প্রশ্ন করেন “যারা রাম ভক্তদের হত্যা করেছিল তাদের কি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সাহস আছে?”
আরও পড়ুন : দিপাবলীতে বড় ঘোষণা! আগামিকাল থেকেই দাম কমছে পেট্রোল-ডিজেলের