Asad Ahmed Encounter: পকেটে দেশি ‘কাট্টা’, ধরেছিল ছদ্মবেশও! গ্যাংস্টারের ছেলেকে কীভাবে ৪২টা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল পুলিশ

Encounter: উমেশ পালকে খুনের পরই আসাদ আহমেদ লখনউ পালিয়ে গিয়েছিল। এরপরে সে মিরাট, কানপুর হয়ে দিল্লিতে পৌঁছয়। সেখান থেকে মধ্য প্রদেশে পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশেই বৃহস্পতিবার ঝাঁসীতে এসে পৌঁছয় আসাদ।

Asad Ahmed Encounter: পকেটে দেশি 'কাট্টা', ধরেছিল ছদ্মবেশও! গ্যাংস্টারের ছেলেকে কীভাবে ৪২টা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল পুলিশ
আসাদ আহমেদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2023 | 6:53 AM

লখনউ: একসময়ে তাঁর দাপটে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেলেও, সরকার বদলাতেই ভয়ে কাঁপছিলেন কুখ্য়াত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed)। যোগী সরকারের পুলিশ যেকোনও মুহূর্তেই এনকাউন্টারে খতম করে দিতে পারে, গ্রেফতারির পর থেকে এই আশঙ্কাই বারংবার প্রকাশ করেছিলেন আতিক। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ হল। তবে তিনি নয়, এনকাউন্টারে খতম করা হল তাঁর ছেলে আসাদ আহমেদ(Asad Ahmed)-কে। বৃহস্পতিবার ঝাঁসীতে আসাদ ও তাঁর সহকারী গুলামকে এনকাউন্টারে খতম করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh Police)। গোটা অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও দিয়েছে পুলিশ। জানানো হয়েছে, মোট ৪২ রাউন্ড গুলি চালানো হয় আসাদ ও গুলামের উপরে। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র, নতুন মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের অন্য়তম অভিযুক্ত আসাদকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে উত্তর প্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বেলা বাড়তেই খবর মেলে, ঝাঁসীতে গা ঢাকা দিয়েছে আসাদ ও তাঁর সহকারী গুলাম। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁসীতে পৌঁছয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। শুরু হয় এনকাউন্টার অভিযান। দুই পক্ষের মধ্যে গুলি চালাচালিতেই আসাদ ও গুলামের মৃত্যু হয়।   পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের উপরে প্রথম গুলি চালায় গুলাম। এরপরই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উমেশ পালকে খুনের পরই আসাদ আহমেদ লখনউ পালিয়ে গিয়েছিল। এরপরে সে মিরাট, কানপুর হয়ে দিল্লিতে পৌঁছয়। সেখান থেকে মধ্য প্রদেশে পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশেই বৃহস্পতিবার ঝাঁসীতে এসে পৌঁছয় আসাদ। বাইকে চেপে আন্তঃরাজ্য সীমানার দিকেই যাচ্ছিল আসাদ, সেই সময়ে পুলিশ তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সকলকে বোকা বানাতে ছদ্মবেশ ধরেছিল গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে। কিন্তু আতিক ‌আহমেদের গ্যাংয়ের এক সদস্যই আসাদের ঠিকুজি-কুষ্ঠি পুলিশকে জানিয়ে দেয়। ডিএসপি র‌্যাঙ্কের অফিসার সহ ১২ সদস্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঝাঁসীর বাবিনা রোডে অপেক্ষা করছিল। আসাদের বাইক আটকানোর চেষ্টা করতেই তাদের উপরে গুলি চালায় তাঁর সহকারী গুলাম। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। মোট ৪২ রাউন্ড গুলি চলার পর এনকাউন্টার অভিযানে আসাদ ও তাঁর সহকারী গুলামকে খতম করা হয়।