AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক হাতে রাইফেল, অন্য হাতে ফোনের ক্যামেরা অন, ভুল জায়গায় চাপ দিয়ে ফেলল তরুণী, তারপর…

বিকেল ৪টে নাগাদ আচমকাই দোতলার ঘর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। বাড়ির সদস্যরা উপরে ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে রাধিকা।

এক হাতে রাইফেল, অন্য হাতে ফোনের ক্যামেরা অন, ভুল জায়গায় চাপ দিয়ে ফেলল তরুণী, তারপর...
রাইফেল হাতে রাধিকা।
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 9:03 PM
Share

হারদোই: শ্বশুরমশাইয়ের কাছে রয়েছে সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল (Single Barrel Rifle)! সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media)-এ নজর কাড়তেই সেই রাইফেল নিয়ে সেলফি তুলছিল ২৫ বছরের রাধিকা। কিন্তু মোবাইলের বাটনে চাপ দিতে গিয়ে ভুল করে চাপ দিলেন ট্রিগারে। গলা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় এক নিমেষেই শেষ হয়ে গেল সদ্য বিবাহিতার জীবন।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলায়। চলতি বছরের মে মাসেই আকাশ গুপ্তা নামক এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বছর ২৫-র রাধিকার। তাঁর শ্বশুর রাজেশ গুপ্তার রাজনীতি করেন। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যই বাড়িতে রাখা রাইফেলটি স্থানীয় থানায় জমা রেখে এসেছিলেন। নির্বাচন মিটতেই গত ২২ জুলাই তাঁর ছেলে রাকেশ সেই রাইফেলটি বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসেন।

সেই দিনই বিকেল ৪টে নাগাদ আচমকাই দোতলার ঘর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। বাড়ির সদস্যরা উপরে ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে রাধিকা। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রাধিকার শ্বশুরমশাই রাজেশ গুপ্তা বলেন, “পিস্তলে যে গুলি ভরা ছিল, তা জানত না রাধিকা। সকলের অলক্ষ্যেই সে দোতলায় গিয়ে ওই পিস্তল বের করে এবং এক হাতে নিয়ে সেলফি তুলতে যায়। কিন্তু ভুল করে মোবাইলে ক্লিক করার বদলে বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিয়ে ফেলে। ওর দেহের পাশেই ফোনটি পড়েছিল, যার ফ্রন্ট ক্যামেরা অন ছিল। সেটি দেখেই অনুমান করা হচ্ছে যে সেলফি তুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে।”

যদিও মৃতার বাবা রাকেশ শ্বশুরবাড়ির এই দাবি মানতে রাজি নন। তাঁর অভিযোগ, পণের লোভেই তাঁরা রাধিকাকে মেরে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছেন। সাহাবাদ থানার স্টেশন ইনচার্জ জানান, রাধিকার ফোন থেকে একটি ছবি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে সে নিজেই গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে বসে ছিল। ময়নাতদন্তেও ধস্তাধস্তি বা জোর করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুন: নিরাপদ হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কোভিশিল্ডে, ল্যানসেটে গবেষণাপত্র বাঙালির